বিশ্বের বিভিন্ন দেশে মোট জাতীয় আয়ে পর্যটনের অবদান ১০ শতাংশের উপরে থাকলেও বাংলাদেশে এই খাতের অবদান মাত্র ২.৯৬। পর্যটন শিল্প সংশ্লিষ্টরা বলছেন, চেষ্টা চলছে ৪ শতাংশে উন্নীত করার। আর এই জন্য দরকার এই খাতের অবকাঠামোগত উন্নয়নের পাশাপাশি দেশে বিদেশে প্রচারণা চালানো।
এশিয়ার অনেকদেশই অতিরিক্ত পর্যটকদের আকৃষ্ট করতে নিজেদের আকর্ষণীয় করে তুলছে অবিরাম। সেই তুলনায় অনেকটাই পিছিয়ে আছে মনোরম পাহাড়, নদী, হাওর-বাওড়, বিশ্বখ্যাত সমুদ্রসৈকত, ম্যানগ্রোভ বন সুন্দরবন, প্রবাল দ্বীপ সেন্ট মার্টিন আর ইতিহাস-ঐতিহ্য সমৃদ্ধ বাংলাদেশ।
ওয়ার্ল্ড ট্রাভেল অ্যান্ড ট্যুরিজম কাউন্সিলের ২০১৬ সালের বার্ষিক গবেষণায় বলা হয়, ২০১৫ সালে বাংলাদেশের জিডিপিতে পর্যটন খাতের প্রত্যক্ষ অবদান ছিল ৪০৭.৬ বিলিয়ন টাকা। যা জিডিপির ২ দশমিক ৪ শতাংশ। এ বছর এটা ৪২৮.৯ বিলিয়ন টাকায় উন্নীত হবে। এই হিসেবে জাতীয় বাজেটে পর্যটন খাতের অবদান কত আর ভবিষ্যতে কত হতে পারে সে ব্যাখ্য দিয়েছেন ট্যুরিজম বোর্ড ও পর্যটন সংশ্লিষ্টরা।
জাতীয় আয়ে পর্যটন শিল্প কতটুকু অবদান রাখছে তা জানতে কি করা প্রয়োজন সে বিষয়ে নিজস্ব ব্যাখ্যা দিয়েছে ট্যুরিজম বোর্ড ও পর্যটন সংশ্লিষ্টরা।
ডব্লিউটিটিসির গবেষণায় বলা হয়, ২০২৬ সালে পর্যটন খাতে প্রত্যাশিত প্রত্যক্ষ জিডিপি দাঁড়াবে ৭৩৮.১ বিলিয়ন টাকা। এই বিষয়টি লক্ষ্য রেখে বিনিয়োগে উৎসাহ প্রদান, অবকাঠামোগত উন্নয়ন ও বিদেশি পর্যটকদেও আকর্ষণ করতে পরিকল্পনা গ্রহণ করার কথা জানায় ন্যাশনাল ট্যুরিজম বোর্ড। লক্ষ্য পূরণ হলে জাতীয় অর্থনীতিতে বিশেষ অবদান রাখবে এ দেশের পর্যটন খাত।