সারাদিনের কর্মব্যস্ত জীবনে শরীরকে তাৎক্ষণিক শ্রান্তি দিতে আমরা বেছে নেই নানান কোমল পানীয় অথবা এনার্জি ড্রিংকস। কিন্তু বাজারে কেনা এসব পানীয় কতটুকুই বা স্বাস্থ্যসম্মত, তা নিয়ে প্রশ্ন আছে অনেকের মনে। কারণ এসবে বাড়তি চিনি, রং, ফ্লেবারসহ আরও অনেক ক্ষতিকর উপাদান মেশানো থাকে। এর পরিবর্তে আমরা ঘরোয়া কিছু কোমল পানীয়তে সতেজ থাকতে পারি। পাশাপাশি শারীরিক ক্ষতির সম্ভাবনাও কমে যাবে।
ডাবের পানি
আমাদের দেশে মোটামুটি হাতের নাগালেই পাওয়া যায় ডাবের পানি। মুহূর্তেই শরীরকে চাঙ্গা করবে। তবে এর সাথে বাড়তি কিছু উপাদান মিশিয়ে একে আরও উপাদেয় করা যায়।এক কাপ ডাবের পানির সাথে এক টেবিল চামচ মধু, ১/৮ পরিমাণ লবণ, ১/৮ লাইম জুস মিশিয়ে পান করলে তা আরও বেশি প্রশান্তি এনে দেয়।
কাঁচা আমের জ্যুস
গ্রীষ্মকালে কাঁচা আম পাওয়া যায়। লবন, লংকা গুড়া মেশানো কাঁচা আম আমাদের সবারই প্রিয়। এটাকে আরও ভিন্নভাবে প্রসেস করেও খাওয়া যেতে পারে। এক্ষেত্রে উপাদানগুলো হবে—১/৪ কেজি কাঁচা আম, ১/২ টেবিল চামচ খনিজ লবণ, ১/২ টেবিল চামচ কালো লবণ, ১/২ কাপ চিনি, ১ কাপ খাবার সোডা। আমগুলো ভালো করে ধুয়ে নরম না হওয়া পর্যন্ত সিদ্ধ করতে হবে। ঠাণ্ডা করে খোসা ছাড়াতে হবে এবং ভর্তার মত করে তৈরি করতে হবে। এর সাথে চিনি, লবন, মরিচের গুড়া মিশিয়ে ভালভাবে ব্লেন্ড করতে হবে। তারপরে খাবার সোডার সাথে মিশিয়ে নিতে হবে।
কলার জ্যুস
কলা এবং ডাবের পানি উভয়েই পটাশিয়ামে ভরপুর। তাই দুটো মিলিয়ে হয়ে যেতে পারে মজাদার জ্যুস। উপাদানগুলো হবে ১/২ ভাগ কলা, ১/২ কাপ ডাবের পানি, ১/২ গ্লাস কমলার জুস, ১/৪ কাপ দই। সবগুলো উপাদান একত্রে মিশিয়ে ভালো করে ব্লেন্ড করলে হয়ে যাবে মজাদার জ্যুস।
শাকপাতা, আনারস এবং আপেল জ্যুস
আপনার মনে হতে পারে শাকপাতার জ্যুস কীভাবে খাওয়া যেতে পারে! এটা তো তিক্ত স্বাদের। প্রকৃত অর্থে এতে আছে প্রচুর অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট আর তা ফলের জ্যুসের সাথে মিশিয়ে সহজেই খাওয়া যেতে পারে। অন্যদিকে আপেলে আছে প্রাকৃতিক চিনি এবং পটাশিয়াম। এর উপাদানগুলো হবে শাকপাতা এক কাপ, আনারস কুচি এক কাপ, আপেল এক কাপ এবং তিন টেবিল চামচ লেবু। উপাদানগুলো জ্যুসার বা ব্লেন্ডারে মিশিয়ে ভালো ভাবে ব্লেন্ড করে জ্যুস হিসাবে খাওয়া যেতে পারে।
এনডিটিভি।