চ্যানেল আই অনলাইন
হৃদয়ে বাংলাদেশ প্রবাসেও বাংলাদেশ

ঘরে বসে কাজ করার সুযোগে স্যামসাং’র আয় বেড়েছে

করোনা মহামারি ঘোষণার পর থেকেই অনেক প্রতিষ্ঠান তাদের কর্মীদের ‘ওয়ার্ক ফ্রম হোম’ উৎসাহিত করেছে। বিশ্বের লাখ লাখ মানুষের ঘরে বসে কাজ করার চাহিদা পূরণে সবচেয়ে বেশি বিক্রি হয়েছে স্যামসাং ইলেকট্রনিক্স পণ্য। ফলে বিগত বছরের তুলনায় কোম্পানিটির আয় বেড়েছে অনেক।

বিবিসির প্রতিবেদনে জানানো হয়, মোবাইলের বাজারে বেশ জনপ্রিয় এই কোম্পানিটি গত বছরের তুলনায় লাভ বেড়েছে ২৩ শতাংশ।

বলা হচ্ছে, এই করোনা পরিস্থিতিতে গুগল,টুইটার এর পাশাপাশি অনেক প্রযুক্তি নির্ভর কোম্পানি তাদের কার্যক্রম চালিয়ে যাওয়ার জন্য কর্মীদের ঘরে বসে কাজ করার সুযোগ করে দেয়। ফলে ইলেকট্রনিক্স পণ্যের চাহিদা বাড়তে থাকে এবং ব্যবসায়ীক মন্দা অবস্থায় স্যামসাং এর আয় বেড়ে যায়। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি বিক্রি হয়েছে কম্পিউটার চিপ। যা বিশ্ব বাজারে ধাক্কা দিয়েছিল।

এমনকি ডেটা সেন্টারগুলো ঘরে বসে কাজ করার ফলে তাদের কাজের সক্ষমতা বাড়িয়েছে।

দক্ষিণ কোরিয়ার একটি ইলেকট্রনিক্স সংস্থা জানিয়েছে, কোভিড-১৯ প্রভাবে অনেক দেশে রিমোট ওয়ার্কিং এবং অনলাইন শিক্ষার সাথে সম্পর্কিত ক্লাউড অ্যাপ্লিকেশনগুলির জোরালো চাহিদা বেড়েছে, তবে এসময় মোবাইলের চাহিদা তুলনামূলকভাবে কম ছিল।

অন্যদিকে ঘরে বসে ভিডিও কনফারেন্সিং, চলচ্চিত্রের স্ট্রিমিং এবং বড় মেমরি চিপ নির্মাতাদের চাহিদা পূরণে ইন্টারনেট সেবা গ্রহণে উৎসাহ দিচ্ছেন এসকে হাইনিক্স এবং মার্কিন সংস্থা মাইক্রন প্রযুক্তি।

গত সপ্তাহে এস কে হাইনিক্স বলেছিল, যে সার্ভার অপারেটররা মেমোরি চিপস অর্ডার করার সাথে সাথে দাম বেড়ে যাওয়ার কারণে এক বছর আগের তুলনায় এখন লাভ তিনগুণ বেড়েছে।

অন্যদিকে এই প্রতিযোগীতার বাজারে টিকে থাকার জন্য স্যামসং নতুন গ্যালাক্সি নোট এবং গ্যালাক্সি জেড ভাঁজ হ্যান্ডসেটগুলি বাজারে আনতে চলেছে।

তারা ধারণা করেছে, এই ধরণের স্মার্টফোনগুলো বাজার আগামী দিনের ক্রমবর্ধমান প্রতিযোগিতামূলক বাজারের চাহিদা পূরণ করবে।