চ্যানেল আই অনলাইন
হৃদয়ে বাংলাদেশ প্রবাসেও বাংলাদেশ
Channelionline.nagad-15.03.24

ঘনিষ্ঠ মানুষ কম রাখাই কোহলির সাফল্যের কারণ

ভারতীয় ক্রিকেটের ‘ঈশ্বর’ তিনি। দীর্ঘ ২৪ বছরের ক্যারিয়ারে তার যে অর্জন, এর সমকক্ষ হওয়ার স্বপ্ন দেখাও রীতিমত দুঃসাহস। এই লিটল জিনিয়াস শচীনক টেন্ডুলকারকে যে এবার অন্তত একটা জায়গায় ছুঁয়ে ফেললেন বিরাট কোহলি।

বর্তমান সময়ের অন্যতম সেরা এই ব্যাটসম্যান ওয়ানডেতে স্কোর তাড়া করতে নেমে করা শতক দিয়ে ছুঁয়ে ফেলেছেন টেন্ডুলকারকে। ওয়ানডের দ্বিতীয় ইনিংসে করা শতকে এখন সমান-সমান এই দুই মহারথী। দুজনেরই শতক ১৭টি।

ফিট থাকতে সবার আগে চিনি বাদ দিন, প্রাকৃতিক ও নিরাপদ জিরোক্যাল-এর মিষ্টি স্বাদ নিন।

ইংল্যান্ডের বিপক্ষে প্রথম ওডিআই‘তে রোববার ১২২ রানের ম্যাচ জেতানো ইনিংস খেলেন ভারতের অধিনায়ক, যাতে তার সর্বমোট শতকের সংখ্যা দাঁড়ালো ২৭টিতে। আর এই জয়ের ফলে তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজে ১-০তে এগিয়ে গেলো স্বাগতিকরা।

শচীন টেন্ডুলকারের সাথে প্রতি ক্ষেত্রেই তুলনা করা হলেও কোহলির কিন্তু এতে প্রবল আপত্তি। তবে দুর্দান্ত নৈপুণ্যে ছুটে চলা যেই ব্যাটসম্যান ‘স্বপ্নকে কোন সীমায় বাঁধতে চান না’ তারতো অর্জনের খাতা প্রাচুর্য্যময় হতে বাধ্য। আর সেই হিসেবে তুলনা আসতেই পারে।

বিশ্ব ক্রিকেটেই এই অসামান্য অর্জনে একদিক দিয়ে শচীনের চেয়ে বহুগুণ এগিয়ে কোহলি। রান তাড়া করতে নামার ইনিংস শচীন যেখানে খেলেছেন ২৩২টি, সেখানে কোহলি মাত্রই ৯৬টি। অর্থাৎ ১৩৬টি ম্যাচ কম খেলেই এমন অসামান্য অর্জন ভারতের ওয়ানডে ও টেস্ট অধিনায়কের।

তবে ‘রান মেশিন’ অ্যাখ্যা পাওয়া এবং নিখুঁত ব্যাটিংয়ের দুর্দান্ত কারিগর কোহলি শচীনের সাথে কোন তুলনায় প্রবল আপত্তি জানিয়ে বলেন, ‘মাস্টার ব্লাস্টারের’ (শচীন) অর্জনের যেই বিস্ময়কর পরিসংখ্যান তা অর্জন করা খুবই কঠিন।

কোহলি বলেন, “আমি হয়তো এতোদিন খেলতে পারবো না (২৪ বছর)। ২০০ টি টেস্ট, ১০০টি আন্তর্জাতিক শতক (শচীনের)। এগুলো অবিশ্বাস্য সংখ্যা এবং তা অর্জন করা অসম্ভব। কিন্তু হ্যাঁ, আমি একটা ভিন্নতা আনতে চাই এবং সবসময় বিশ্বাস করি একটা ভালো চিহ্ন রেখেই খেলাটিকে বিদায় জানাবো।”

এই বিস্ময়কর সাফল্যগাথার পেছনের টোটকাও ফাঁস করেন কোহলি। আর তা হলো ‘ঘনিষ্ঠ মানুষ খুব বেশি না রাখা’। এতে করে ‘মনোনিবেশ ও সময় ব্যবস্থাপনায়’ কোন সমস্যায় পড়তে হয় না বলে জানান কোহলি।

বিসিসিআই.টিভির এক সাক্ষাৎকারে সাবেক ইংল্যান্ড অধিনায়ক নাসের হোসেইনকে এমনটি জানান কোহলি।

এছাড়াও স্বপ্নের কোন সীমাবদ্ধতা আরোপে নারাজ কোহলি বলেন, “আমি মনে করি খেলোয়াড় হিসেবে, আমরা কি করতে পারি তা না জেনেই কোন না কোনভাবে এতে সীমারেখা এঁকে দেই। তবে এই ক্ষেত্রে আমি কোন সীমাবদ্ধতা আরোপ করি না।”

স্বপ্নের মতো ছুটে চলা কোহলি বলেন, “আমি সবসময় আমার সর্বোচ্চ ক্ষমতার প্রয়োগ করতে ভালোবাসি। আমি জীবনে কি করতে চাই সে বিষয়ে কোন সীমা টানি না।”

২০০টি টেস্ট ও ৪৬৩টি ওয়ানডের ক্যারিয়ারে (১৯৮৯ থেকে ২০১২) শচীনের টেস্ট শতক ৫১টি এবং ওয়ানডে শতক ৪৯টি। অন্যদিকে (২০০৮ থেকে ২০১৭) ৫৩টি টেস্ট ও ১৭৭টি ওয়ানডে ম্যাচে ১৫ টেস্ট শতক ও ২৭টি ওয়ানডে শতক কোহলির।