আগামি দুই দিনের মধ্যেই গ্রিসকে আইএমএফের ১৬০ কোটি ডলার ঋণ শোধ করতে হবে। ওই অর্থ দিতে না পারলে গ্রিস ঋণ খেলাপী হয়ে যাবার পাশাপাশি তাদের ইউরোজোন থেকেও বেরিয়ে যেতে হবে। এমন পরিস্থিতির মধ্যেই ইউরোপিয়ান কেন্দ্রীয় ব্যাংকের জরুরি অর্থ দেয়া বন্ধের ঘোষণার পর সে দেশের ব্যাংকগুলোকে বন্ধ রাখা এবং পুঁজির উপর নিয়ন্ত্রন আরোপের ঘোষণা দিয়েছেন গ্রিসের প্রধানমন্ত্রী অ্যালেক্সিস সিপ্রাস।
তবে কতদিন পর্যন্ত ব্যাংগুলো বন্ধ থাকবে এবং কিভাবে পুঁজির উপর নিয়ন্ত্রন আরোপ করা হবে সে ব্যাপারে স্পষ্ট করে কিছু বলেননি সিপ্রাস।
নাগরিকদের অর্থের বিষয়ে গ্রিসের প্রধানমন্ত্রী অ্যালেক্সিস সিপ্রাস বলেছেন, ব্যাংকগুলোতে নাগরিকদের আমানত একদমই নিরাপদ রয়েছে। একইভাবে নাগরিকদের বেতন এবং পেনশন নিরাপদভাবেই প্রদান করা হবে। আমাদেরকে যে কোনো সমস্যা শান্তভাবে এবং সমাধানের সঙ্গে মোকাবেলা করতে হবে।
এমন পরিস্থিতিতে গ্রিসের অর্থখাত যাতে অস্থিতিশীল পরিস্থিতির মধ্যে না পড়ে সেজন্য সোমবার ব্যাংক হলিডে বা ছুটির দিন হিসেবে ঘোষণা করার কথা বলেছেন ইউরোজোনের অর্থমন্ত্রীরা।ঋণ সংকটের আশংকা ঘনীভূত হতে থাকায় এরই মধ্যে গ্রিসের মানুষজন ব্যাংক থেকে টাকা তুলতে এটিএম মেশিনগুলোর সামনে ভিড় জমাচ্ছে।
ইউরোজোনের অর্থমন্ত্রীরা ৩০ জুনের পর গ্রিসের জন্য জরুরি অর্থ সহায়তা বন্ধ করে দেয়ার ঘোষণা দেয়ায়, আগামী ৫ জুলাই দেশটিতে গণভোটের প্রস্তাবের অনুমোদন দিয়েছে গ্রিসের পার্লামেন্ট। তবে পেনশন সুবিধা বাতিলে শর্তযুক্ত ঋণ সহায়তার বিপক্ষে অবস্থান নিয়েছেন সরকারি চাকরিজীবীরা। এর আগে ঋণ খেলাপ ঠেকাতে সরকারি ব্যয় কমানো এবং পেনশন সুবিধা বাতিলের মতো শর্তে গ্রিসকে সহায়তা দিতে রাজি হয়েছিলো ইউরোপীয় ইউনিয়ন। কিন্তু গ্রিসের বাম সরকার শর্তযুক্ত ঋণ সহায়তা প্রস্তাব নাকচ করে দেয়।