২০১৬’র ঘরের মাঠের ইউরোতে দুর্দান্ত খেলে দলকে ফাইনালে তুলেছিলেন অ্যান্থনিও গ্রিজম্যান। তার বুটের ধার অব্যাহত ছিল ক্লাব ফুটবলেও। কিন্তু বিশ্বকাপে যেন খেই হারিয়ে ফেলেছেন তিনি। তবে নকআউট পর্বে আর্জেন্টিনার বিরুদ্ধে কঠিন ম্যাচেই গ্রিজম্যান ধাঁধার সমাধান খুঁজছে ফ্রান্স।
বিশ্বকাপের শুরু থেকে ক্লান্ত মনে হচ্ছে গ্রিজম্যানকে। গ্রুপপর্বের প্রথম তিন ম্যাচের একটিওতে ৯০ মিনিট খেলতে পারেননি। তার সতীর্থ অলিভিয়ের জিরু বলছেন, বেশ কিছুদিন ধরেই গ্রিজম্যান শারীরিকভাবে ভালো ছিলেন না। কেন না জাতীয় দল ও ক্লাবের হয়ে ৬০ ম্যাচ খেলেছেন তিনি।
পারফরম্যান্স যাই হোক, সতীর্থদের পাশেই পাচ্ছেন গ্রিজম্যান। সাম্প্রতিক ফর্মের জন্য তার সমালোচনা হওয়ায় পাশে দাঁড়িয়েছেন পল পগবা। ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড তারকার সাফ কথা, ‘আমরা গ্রিজুকে (গ্রিজম্যানকে এই নামেই ডাকেন তার সতীর্থরা) স্পর্শ করো না। তোমরা কি ইউরোর কথা ভুলে গেছ?’
ক্লান্তির জন্য ইউরোর শুরুতেও সমালোচিত ছিলেন গ্রিজম্যান। কিন্তু আলবেনিয়ার বিরুদ্ধে গ্রুপর্বের শেষ ম্যাচের অন্তিম মুহূর্তে গোল করে দলকে নকআউটে তোলেন। পরে সবমিলিয়ে পাঁচ ম্যাচে ছয় গোল করে টপ স্কোরারও হন। আফসোস শুধু, পর্তুগালের কাছে হেরে শিরোপা জেতা হয়নি তাদের।
সেই প্রসঙ্গ টেনে পগবা বলেছেন, ‘সর্বশেষ ম্যাচে সে গোল পায়নি বলে এটা ভাবার কোনও কারণ নেই যে, গ্রিজু আর আগের গ্রিজু নেই।’
গ্রিজম্যান নিজেও পরের ম্যাচে ফর্মে ফেরার ইঙ্গিত দিয়েছেন, ‘আশা করি শেষ ষোলোর ম্যাচেই নিজের লেভেলে ফিরতে পারব। ইউরোতেও একই অবস্থা হয়েছিল। সেখানে নকআউটের আগে কিছু করতে পারিনি। দেখি কি হয়, তবে আমার আত্মবিশ্বাস আছে।’
আর্জেন্টিনা ম্যাচে আগে গ্রিজম্যান ফিটনেস ফিরে পাচ্ছেন বলে জানিয়েছেন তার আরেক সতীর্থ লুকাস হার্নান্দেজ, ‘তিনি ভালোই আছেন। বিশ্বের সেরা একজনের খেলোয়াড়ের উপর আপনার সংশয় থাকা উচিত নয়। তাকে নিয়ে যারা কথা বলছেন, তাদের শেষ ষোলোতেই চুপ করিয়ে দেবেন তিনি।’