গ্রামীণফোনের সর্বশেষ তথ্যানুযায়ী মোবাইলফোন অপারেটরটির বর্তমান গ্রাহক সংখ্যা ৬ কোটি ১৬ লাখ। তাদের মধ্যে ২ কোটি ৭০ লাখ গ্রাহক ইন্টারনেট ব্যবহার করছে।
মোবাইলফোন অপারেটরটি এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, ৬ কোটি ১৬ লাখ সক্রিয় গ্রাহক নিয়ে ২০১৭ সালের দ্বিতীয় প্রান্তিক শেষ করেছে গ্রামীণফোন যা ২০১৭ সালের প্রথম প্রান্তিকের চেয়ে ২.৯% বেশি। মোট গ্রাহকের শতকরা ৪৩.৯ ভাগ বর্তমানে ইন্টারনেট ব্যবহার করছে। এ বছরের দ্বিতীয় প্রান্তিকে গ্রামীণফোন ৩২৪০ কোটি টাকা রাজস্ব আয় করেছে যা প্রথম প্রান্তিকের তুলনায় ৫.৮% বেশি।
গ্রামীণফোনের সিইও মাইকেল প্যাট্রিক ফোলি বলেন: এই প্রান্তিক খুবই প্রতিযোগিতামূলক ছিল, বিশেষ করে গ্রাহক যোগ করার দিক থেকে। এরপরও ডাটা এবং ভয়েস উভয় খাতেই প্রবৃদ্ধি অর্জন করতে পেরেছি।
তিনি বলেন, ‘ব্যবসায়িক পরিবেশ, বিশেষ করে রেগুলেটরি ব্যবস্থা ও স্থানীয় করনীতি ব্যবসায়িক সাফল্যকে ম্লান করে দিচ্ছে। আমরা আশাবাদী যে ৪-জি লাইসেন্স, স্পেকট্রাম নিউট্রালিটি/নিলাম, পুরানো সিম ট্যাক্স এর দাবি এবং গ্রাহকের সেবা ব্যবহারের উপর কর এর মতো বিষয়গুলো নিয়ে সরকার ও আমাদের শিল্পের মধ্যে অর্থপূর্ণ সংলাপ বিনিয়োগকারীদের জন্য আরো দৃশ্যমান পরিবেশ ও গ্রাহকদের জন্য সুলভ সেবার পথ সুগম করবে। মোবাইল শিল্প বাংলাদেশে বৈদেশিক বিনিয়োগের ক্ষেত্র একটি সাফল্যের দৃষ্টান্ত। এই শিল্পে আরো বৈদেশিক বিনিয়োগ অব্যাহত রাখা এবং বাংলাদেশে বিনিয়োগে আগ্রহীদের জন্য বিষয়টিকে আকর্ষণীয় রাখতে আমাদের সকলের মিলিত প্রচেষ্টা প্রয়োজন।’
গ্রামীণফোন এই প্রান্তিকে ৩-জি ও ২-জি কাভারেজ বিস্তারে এবং গ্রাহকের অভিজ্ঞতা উন্নয়নে ৩৩০ কোটি টাকা বিনিয়োগ করেছে। এই সময়ে ১৪১টি ২-জি এবং ২২৫টি ৩-জি বেস স্টেশন (বিটিএস) নেটওয়ার্কে যুক্ত হয়েছে, ফলে মোট ২-জি বিটিএস এর সংখ্যা দাড়িয়েছে ১২,৩৬৩টি এবং ৩-জি বিটিএস ১১,৫৫৭টি। এই প্রান্তিকে প্রতিষ্ঠানটি রাষ্ট্রীয় কোষাগারে কর, ভ্যাট, শুল্ক ও লাইসেন্স ফি আকারে ১৬৪০ কোটি টাকা জমা দিয়েছে, যা মোট রাজস্বের ৫০.৬ ভাগ।