আন্তর্জাতিক বাজারে যেখানে জ্বালানী তেলসহ অন্যান্য পণ্যের মূল্য হ্রাস পাচ্ছে সেখানে দেশীয় শিল্পকে ধ্বংস করার জন্য একটি চক্র ষড়যন্ত্র করে বিদ্যুত ও গ্যাসের মূল্য বৃদ্ধি করতে সক্ষম হয়েছে। এতে বাংলাদেশের উদীয়মান শিল্পসমূহ বন্ধ হবে এবং স্থানীয় বাজার আমদানি নির্ভরশীল হবে, এর ফলে দেশীয় বাজার বিদেশীদের হাতে চলে যাবে।
বাংলাদেশ অটো রি-রোলিং এন্ড স্টিল মিলস এসোসিয়েশন এর কার্যালয়ে শনিবার বেলা এগারোটায় অনুষ্ঠিত কার্যনির্বাহী কমিটির এক জরুরি সভায় শিল্পের মালিকগণ গ্যাস ও বিদ্যুতের মূল্য বৃদ্ধির ঘোষণায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে এমন মন্তব্য করেন।
শিল্পমালিকগণ বলেন, সম্প্রতি কয়েক দফা বিদ্যুত ও গ্যাসের মূল্য বৃদ্ধি করার পরও অযৌক্তিকভাবে এবং স্থানীয় প্রায় সকল শিল্পের দাবি উপেক্ষা করে বিদ্যুত ও গ্যাসের মূল্য বৃদ্ধি স্টিল ও রি-রোলিং শিল্পসহ স্থানীয় সকল শিল্পায়নের পরিপন্থি।
সভায় বক্তারা বলেন, বিদ্যুৎ ও গ্যাসের মূল্যবৃদ্ধির কারণে আমাদের স্টিল ও রি রোলিং শিল্পের উৎপাদন খরচ বেড়ে যাবে এবং রডসহ অন্যান্য এম.এস পণ্যের মূল্য বৃদ্ধি পাবে, ফলে ভোক্তা রডসহ অন্যান্য এমএস পণ্য ক্রয়ে নিরুৎসাহিত হবে। ফলে হাজার হাজার কোটি টাকায় গড়া আমাদের আন্তর্জাতিকমানের স্টিল ও রি-রোলিং শিল্পগুলি হুমকির মুখে পড়বে এবং এক পর্যায়ে শিল্পগুলি বন্ধ হয়ে যাবে।
আন্তর্জাতিকমানের স্টিল ও রি-রোলিং শিল্পগুলিকে বাঁচানোর স্বার্থে বিদ্যুৎ ও গ্যাসের নতুন মূল্যহার প্রত্যাহারের জন্য সভায় শিল্পমালিকগণ সরকারের নিকট জোর দাবি জানায়।
বিইআরসি’এর ঘোষণা অনুযায়ী আগামী ১ সেপ্টেম্বর থেকে বিদ্যুতের দাম ২.৯৩ শতাংশ হারে বৃদ্ধি এবং গ্যাসের মূল্য ২৬.২৯ শতাংশ হারে বৃদ্ধি করা হবে।