ব্রিসবেনের গ্যাবায় ১৯৮৮ সালের পর কখনই টেস্ট হারেনি অস্ট্রেলিয়া। ইংল্যান্ডের ‘কৃতিত্বে’ গৌরবের এ রেকর্ডটা অক্ষুন্ন রাখল অজিরা। অ্যাশেজের প্রথম টেস্টে ইংল্যান্ডকে ১০ উইকেটে রীতিমত বিধ্বস্ত করেছে স্বাগতিকরা।
টেস্ট জিততে পঞ্চম ও শেষ দিন ১০ উইকেট হাতে নিয়ে মাত্র ৫৬ রান দরকার ছিল অস্ট্রেলিয়ার। এক ঘণ্টারও কম সময়ে সেই রান তুলে নেন দুই ওপেনার। ডেভিড ওয়ার্নার ৮৭ ও অভিষিক্ত ক্যামেরন বেনক্রফট ৮২ রানে অপরাজিত থাকেন।
১৭০ রানের জয়ের টার্গেটে ব্যাটিংয়ে নেমে বিনা উইকেটেই ১১৪ রান তুলে চতুর্থ দিন শেষ করে অস্ট্রেলিয়া। ওয়ার্নার ও ক্যামেরন বেনক্রফট উদ্বোধনী জুটিতে শতরান তুলে অবিচ্ছিন্ন থেকে মাঠ ছাড়েন।
দুই ওপেনারের কল্যাণে ৩৪ ওভারে ১১৪ রান তুলে স্বাগতিকরা জয়ের কাছাকাছি পৌঁছে যায় আগের দিনই। ওয়ার্নার ক্যারিয়ারের ২৫তম হাফসেঞ্চুরি পান ৭৪ বলে। এ ম্যাচেই অভিষেক ঘটা বেনক্রফট ক্যারিয়ারের প্রথম হাফসেঞ্চুরিটা তুলে নেন ১১১ বলে।
তিনদিন শেষেও লড়াইটা ছিল ৫০-৫০। গ্যাবায় ৩১ বছর পর জয়ের স্বপ্ন দেখছিল ইংলিশরা। কিন্তু চতুর্থ দিনের হতশ্রী পারফরম্যান্স ইংলিশদের ঠেলে দেয় খাদের কিনারে। দ্বিতীয় উইকেটে ৩৩ রান নিয়ে রোববার ব্যাটিংয়ে নামা সফরকারীরা শেষ ৬ উইকেট হারায় মাত্র ৮২ রানে।
বিপর্যয়ের মধ্যে অধিনায়ক জো রুটই শুধু হাফসেঞ্চুরির নাগাল পেয়েছেন। ১০৪ বলে ৫১ রান করে তিনি জস হ্যাজেলউডের বলে লেগ বিফোর হন। হ্যাজেলউড, মিচেল স্টার্ক ও নাথান লায়ন তিনটি করে উইকেট নেন। প্যাট কামিন্সের শিকার একটি।
সংক্ষিপ্ত স্কোর
ইংল্যান্ড: ৩০২ ও ১৯৫ (রুট ৫১, বেয়ারস্টো ৪২, মঈন ৪০; হ্যাজেলউড ৩/৪৬, স্টার্ক ৩/৫১, লায়ন ৩/৬৭)
অস্ট্রেলিয়া: ৩২৮ ও ১৭৩/০ (ওয়ার্নার ৮৭*, বেনক্রফট ৮২*)