দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষায় ভূমিকা রাখাসহ বিদেশে শান্তি রক্ষায় অনন্য অবদান রেখে যাচ্ছে বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনী। তাদের অক্লান্ত সেবা আর পেশাগত মর্যাদাকে সম্মান জানিয়ে ২১ নভেম্বর পালিত হতে যাচ্ছে সশস্ত্র বাহিনী দিবস-২০১৭। দিবসটি উপলক্ষে বাণী দিয়েছেন রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী। বাণীতে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যদের নেতৃত্বের প্রতি অনুগত থেকে তাদের গৌরব সমুন্নত রাখার আহবান জানিয়েছেন। আর প্রধানমন্ত্রী জানিয়েছেন সশস্ত্র বাহিনীর আধুনিকায়নে কতটা সক্রিয় সরকার। এ বছর সশস্ত্র বাহিনী দিবস উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রী ও প্রতিরক্ষা মন্ত্রী ঢাকা সেনানিবাসস্থ আর্মি মাল্টিপারপাস কমপ্লেক্সে বীরশ্রেষ্ঠদের উত্তরাধিকারী এবং খেতাবপ্রাপ্ত মুক্তিযোদ্ধা ও তাদের উত্তরাধিকারীদের সংবর্ধনা জানাবেন। এছাড়া প্রধানমন্ত্রী ১০ জন সেনা, ১ জন নৌ ও ১ জন বিমান বাহিনী সদস্যকে ২০১৬-২০১৭ সালের শান্তিকালীন পদকে এবং ১০ জন সেনা, ২ জন নৌ এবং ২ জন বিমান বাহিনী সদস্যকে ২০১৬-২০১৭ সালের অসামান্য সেবা পদকে ভূষিত করবেন। এরকম নানা আয়োজনে শ্রদ্ধাসহ মূল্যায়ন সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যদের কাজের প্রতি একাগ্রতা আরও বাড়িয়ে দেবে বলে আমাদের ধারণা। সাম্প্রতিক সময়ে সেনাবাহিনীসহ সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যরা কক্সবাজার ও টেকনাফে রোহিঙ্গা ইস্যুসহ সীমান্ত নিরাপত্তায় অবদান রেখে চলেছে। জাতি তাদের এই সেবা পেয়ে যে নিরাপদ ও স্বস্তিবোধ করছে, তা অবশ্যই ধন্যবাদ পাবার মতো। জল-স্থল-আকাশ পথে নিরাপত্তার পাশাপাশি বিভিন্ন জাতীয় প্রয়োজনে বহু অবদান রাখা সশস্ত্র বাহিনীর ভূমিকা দেশে-বিদেশে আরও কার্যকর ও প্রশংসিত হোক এই আমাদের প্রত্যাশা। মুক্তিযুদ্ধের সময় ১৯৭১ সালের ২১ নভেম্বর জন্ম নেয়া আমাদের সশস্ত্র বাহিনী সবসময় মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে সবার উর্ধ্বে রাখবে বলেও আমাদের বিশ্বাস।