সবগুলো জাতীয় সামরিক অ্যাকাডেমি বন্ধ করে দিতে চান তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোগান। একই সঙ্গে রাষ্ট্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা এবং সেনাবাহিনীর চিফ অব স্টাফকেও নিজের অধীনে রাখতে চান তিনি।
শিগগিরই এই প্রস্তাব পার্লামেন্টের সামনে রাখা হবে বলে এরদোগান জানিয়েছেন।
তুরস্কের জাতীয় গণমাধ্যম হাবের টিভিকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে শনিবার প্রেসিডেন্ট এরদোগান বলেন, ‘আমরা একটি ছোট সাংবিধানিক প্যাকেজ উপস্থাপন করতে যাচ্ছি। এটি অনুমোদন পেলে জাতীয় গোয়েন্দা সংস্থা (এমআইটি) এবং সেনাপ্রধানের পদটি প্রেসিডেন্টের নিয়ন্ত্রণে চলে আসবে।’
‘তখন মিলিটারি স্কুলগুলো বন্ধ করে দেয়া হবে। আমরা একটি জাতীয় প্রতিরক্ষা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করব,’ বলেন তিনি।
তুর্কি প্রেসিডেন্ট আরও জানান, প্রস্তাবগুলো পাসের পর সশস্ত্র বাহিনীর আকার ছোট হয়ে আসবে। তবে এর অস্ত্রশস্ত্রের পরিমাণ আরও বাড়বে।
প্রস্তাবটি গৃহীত হওয়ার জন্য এরদোগানকে পার্লামেন্টের দুই-তৃতীয়াংশের অনুমোদন যোগাড় করতে হবে। অর্থাৎ এজন্য বিরোধী দলগুলোরও অনেকখানি সমর্থন পেতে হবে তাকে।
১৫ জুলাই তুরস্কে সেনাবাহিনীর একাংশের অভ্যুত্থানের ব্যর্থ চেষ্টার পর থেকেই দেশকে ‘অভ্যুত্থানের ভাইরাস’ থেকে মুক্ত করতে এরদোগান সরকার গণগ্রেফতার আর সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারিদের গণছাঁটাই চালিয়ে যাচ্ছে। এর অংশ হিসেবেই কয়েকশ’ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ইতোমধ্যে বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।
অভ্যুত্থান বিরোধী কর্মকাণ্ডে নতুন সংযোজন হিসেবে নতুন প্রস্তাবগুলো দিলেন প্রেসিডেন্ট এরদোগান।