তিনি সব কিছুই করেন বাম হাতে। খাওয়া-দাওয়া, খেলাধুলা এমনকি মানুষকেও খুন করেন বাম হাত দিয়েই। ব্লগার হত্যার তদন্ত করতে গিয়ে গোয়েন্দা পুলিশের কাছে উঠে আসে ওই বা হাতি ব্যক্তির নাম। সিলেটে ব্লগার অনন্ত বিজয় দাস আর ঢাকায় নীলাদ্রি নিলয় ও প্রকাশক ফয়সাল আরেফিন দীপন হত্যায় সরাসরি জড়িত ছিলো ওই যুবক। তাকেই তন্নতন্ন করে খুঁজছে গোয়েন্দা পুলিশ।
গোয়েন্দারা বলছেন, এই ব্যক্তিকে গ্রেফতার না করা পর্যন্ত ঘুম নেই তাদের। দুই ব্লগার এবং একজন প্রকাশক হত্যার সময় সেই ছিলো মূল হামলাকারী। তাদেরকে যেভাবে কোপানো হয়েছে; তাকে দেখা গেছে একই ব্যক্তির হাতে খুন হন তারা। আর ওই খুনি ছিলেন বাম হাতি।
এ বিষয়ে গোয়েন্দা পুলিশের যুগ্ম কমিশনার মো. মনিরুল ইসলাম বলেন, সব ব্লগার হত্যারই তদন্ত হচ্ছে। তাতে বিভিন্ন ব্যক্তির নাম এসেছে। সুনির্দিষ্ট করে কারো নাম বলা যাচ্ছে না।
বা হাতি ওই ব্যক্তির বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি স্পষ্ট করে কিছু বলতে চাননি।
তবে গোয়েন্দা পুলিশের একটি সূত্র বলছে, ওই বাম হাতি ব্যক্তি সম্ভবত জঙ্গিদের প্রশিক্ষক। বিশেষ বিশেষ হামলার সময় উপস্থিত থেকে সরাসরি হত্যাকাণ্ডে অংশ নিয়ে থাকেন। তাকে গ্রেফতার করতে না পারলে আরও ঘটনা ঘটার আশঙ্কা রয়েছে।
চলতি বছরের ১২ মে ব্লগার ও বিজ্ঞান লেখক অনন্ত বিজয় দাশকে (৩৩) সিলেটের সুবিদবাজার এলাকায় কুপিয়ে হত্যা করে চারজন অস্ত্রধারী দুর্বৃত্তরা। তার মাথায় ও দুই হাতে ধারালো অস্ত্রের আঘাতের ক্ষত ছিলো।
এরপর ৭ আগস্ট রাজধানী ঢাকার খিলগাঁওয়ের উত্তর গোড়ানে নিজ বাসায় কুপিয়ে হত্যা করা হয় ব্লগার নীলাদ্রি চট্টোপধ্যায়কে নিলয়কে। চার জন যুবক এই কিলিং মিশনে অংশ নেয়। রামদা দিয়ে পিঠে, গলায় ও ঘাড়ে তিন থেকে চারটি কোপ দেওয়া হয় নিলয়কে।
সর্বশেষ গত ৩১ অক্টোবর রাজধানীর শাহবাগের আজিজ সুপার মার্কেটে কুপিয়ে হত্যা করা হয় প্রকাশক ফয়সাল আরেফিন দীপনকে। মার্কেটের তৃতীয় তলায় নিজ ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে হত্যা করা হয় তাকে।
জাগৃতি প্রকাশনীর সত্ত্বাধিকারী দীপনের ঘাড়েও কোপের চিহ্ন ছিলো।
এসব হত্যার পর দায় স্বীকার করে বিবৃতি দেয় আল-কায়েদা ভারতীয় উপমহাদেশের (একিউআইএস) বাংলাদেশ শাখা আনসার-আল-ইসলাম।