কয়েক বছর ধরে লাভের মুখ দেখলেও এবার ‘কিউ সিক্সটিন’ জাতের আখ চাষ করে ক্ষতির মুখে পড়েছেন চাষী। সাধারণত চিবিয়ে খাওয়ার উপোযোগী আখের চাহিদা নেই বাজারে।
গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার বকচর, ফাঁসিতলা, কামারদহ, চেরাগালি, রসুলপুর, বার্নাসহ আশপাশের বিস্তীর্ণ এলাকায় এবার প্রচুর আখের আবাদ হয়েছে। অন্যান্য আখের চেয়ে ‘কিউ সিক্সটিন’ জাতের আখ নরম ও সুস্বাদু হলেও যথাসময়ে বাজারে আনতে না পারায় আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়েছেন চাষীরা।
বহিরাগত ব্যপারিরা সঠিক দাম দিচ্ছে না বলে অভিযোগ করেন স্থানীয় আখ চাষীরা। এই ধরনের আখ সাধারনত রস হিসেবে বিক্রি হয় উল্লেখ করে চাষীরা বলেন, এটা কোনো মিলে দেয়া যায় না, এটাতে কোনো চিনি হয় না।
গত বছর বৈশাখের শুরুতে পাইকাররা এক বিঘা জমির আখ কিনেছিলেন ৭০ থেকে ৮০ হাজার টাকায়। এবার ওই একই আখ বিক্রি হচ্ছে ৩০-৩৫ হাজার টাকায়।
গরম কম থাকায় মানুষেরা এখন আখ খায় না উল্লেখ করে বর্ষার কারণেও আখ বিক্রি কম বলে জানান স্থানীয় আখ চাষীরা।
আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়েছেন ব্যবসায়ীরাও। পর্যাপ্ত পরিমানে আখের সরবরাহ পাচ্ছেন না বলে ক্ষোভের সাথে আখ ব্যবসায়ীরা জানান, মাল যেখানে লাগবে তিন গাড়ি, সেখানে দেয়া হচ্ছে এক গাড়ি। ঢাকা শহরে গেলে ১৫ থেকে ২০ হাজার টাকা ক্ষতি হচ্ছে বলে জানান ব্যবসায়ীরা।
উষ্ণ আবহাওয়ায় আখের চাহিদা ও দাম দুইই বাড়বে বলে আশা করছে কৃষি বিভাগ।
গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার কৃষি কর্মকর্তা সাহারা বানু বলেন, এই জাতের আখ চাষ করতে হলে খুব বেশি কারিগরি জ্ঞানেরও দরকার হয় না। এখানে রোগ এবং পোকামাকড়ের আক্রমনও খুব কম।