চেতেশ্বর পূজারা ভারতের সেই কয়েকজন হাতেগোনা খেলোয়াড়ের একজন, যার আছে গোলাপি বলে খেলার অভিজ্ঞতা। সেই অভিজ্ঞতার আলোকে টপঅর্ডার ব্যাটসম্যান বলছেন, সন্ধ্যার শুরুতে ব্যাটসম্যানদের চোখ ফাঁকি দেয় এ বল। যার কারণে ওই সময়টাতে উইকেট পড়ার সম্ভাবনা থাকে বেশি।
বাংলাদেশ এবং ভারতের খেলোয়াড়রা এখন ইন্দোরে ব্যস্ত প্রথম টেস্টের অনুশীলনে। ১৪ নভেম্বর শুরু হবে সিরিজের প্রথম টেস্ট। ইন্দোর টেস্ট লাল-বলের হলেও সবারই আগ্রহ কম-বেশি গোলাপি বলের ম্যাচ অর্থাৎ, দিবা-রাত্রির টেস্ট নিয়ে। ইডেনে ২২ নভেম্বর থেকে শুরু হতে যাওয়া ম্যাচটি দুদলেরই প্রথম দিবা-রাত্রির টেস্ট।
ইডেনের ম্যাচকে তাই খুবই গুরুত্বের সঙ্গে নিয়েছে ভারত। ইন্দোরে কৃত্রিম আলোয় অনুশীলনের জন্য এরইমধ্যে কর্তৃপক্ষের কাছে আবেদন করেছে দলটি। ঘরোয়া ক্রিকেটে গোলাপি বলে খেলার অভিজ্ঞতাসম্পন্ন পূজারা বলছেন, দিনে খুব একটা সমস্যা হয় না, সমস্যা শুরু হয় সন্ধ্যা থেকে।
‘দুপুরবেলায় বল দেখতে তেমন সমস্যা হয় না ব্যাটসম্যানদের। তবে, সন্ধ্যার শুরুর দিকে সমস্যা দেখা দিতে পারে। এই সময়টাতে সাবধানে থাকতে হবে।’
কীভাবে গোলাপি বলে খেলতে হয় সেটাও বলে দিয়েছেন পূজারা, ‘দেরিতে এবং শরীরের কাছাকাছি খেলাই রান করার চাবিকাঠি। আমার মনে হয় না বলের সঙ্গে মানিয়ে নিতে কোনো সমস্যা হবে।’
গোলাপি বলে খেলতে হবে জেনে আগেই প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছিলেন পূজারা, আজিঙ্কা রাহানেরা। একটা সেশন করিয়েছেন সাবেক ব্যাটসম্যান রাহুল দ্রাবিড়। ঘরোয়া ক্রিকেটে কুকাবুড়ার গোলাপি বল দিয়ে খেলা হলেও ইডেন ম্যাচে ব্যবহার করা হবে এসজি বল। যার সিম হতে পারে কালো রঙের। এই বলে মিলতে পারে অস্বাভাবিক সুইং। সেই সুইং নিয়ে যত দুশ্চিন্তা আরেক ব্যাটসম্যান রাহানের।
‘বলের যে সুইংটা হবে সেটাই ভাবনার। লাল বলের চেয়েও বেশি সুইং পাওয়া যাবে এই বলে। তবে আশা করি দ্রুতই মানিয়ে নিতে পারবো। আমরা বিভিন্ন ধরনের ক্রিকেট খেলি। টি-টুয়েন্টি থেকে টেস্ট খেলতে নামছি। আসলে ব্যাপারটা হচ্ছে নিজেকে ঠিক করতে হবে আগে। নিজের দক্ষতা এখানে কাজে লাগবে। যদি আপনি মানসিকভাবে ঠিক থাকেন তাহলে খেলতে সমস্যা হওয়ার কথা না।’