বাংলাদেশ-ভারত রেল সংযোগ স্থাপনে গেরো খুলতে শুরু করেছে। আখাউড়া-আগরতলা রেল প্রকল্প নিয়ে বৃহস্পতিবার নয়া দিল্লীতে বৈঠকে বসছে ভারতের ন্যাশনাল ইন্সটিটিউশন ফর ট্রান্সফরমিং ইন্ডিয়া (এনআইটিআই)।
বাংলাদেশ রেলওয়ের (পূর্বাঞ্চল) অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী এ কে এম শহীদুল ইসলাম জানিয়েছেন, প্রকল্পের বিস্তারিত ভারতে পাঠানো হয়েছে। আমরা এখন তাদের উত্তরের অপেক্ষায় আছি।
কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, মূলত ভারতীয় অর্থায়নের এ প্রকল্পে বাংলাদেশ অংশে জমি অধিগ্রহণে টাকার পরিমাণের বিষয়ে দিল্লীর প্রশ্ন ছিলো।
এ বিষয়ে প্রশ্নের উত্তরে শহীদুল ইসলাম জানান, আমরা ভারতকে এখানকার জমির দামের বিষয়ে জানিয়েছি। এখন তারা সিদ্ধান্ত নেবে।
সূত্রগুলো জানায়, জমির দামের জটিলতায় প্রকল্প বাস্তবায়নের কাজ আটকে গেলেও নরেন্দ্র মোদির বাংলাদেশ সফরের পর তা দূর করার বিষয়ে উদ্যোগী হয় ভারতের কেন্দ্রীয় সরকার।
ত্রিপুরার যোগাযোগমন্ত্রী মানিক দে জানিয়েছেন, ত্রিপুরার ভেতর দিয়ে আখাউড়া-আগরতলা ১৫ কিলোমিটার রেল প্রকল্পের অচলাবস্থা কাটাতে রেল মন্ত্রণালয় এবং ত্রিপুরা রাজ্য সরকার সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে বৈঠকে বসবেন এনআইটিআই’র প্রধান নির্বাহী।
২০১০ সালে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভারত সফরের সময় আখাউড়া-আগরতলা রেলওয়ের সংযোগ স্থাপনের বিষয়টি চূড়ান্ত হয়। কিন্তু কেন্দ্রীয় সরকার বরাদ্দ না দেওয়ায় ভূমি অধিগ্রহণসহ প্রাথমিক কাজ আটকে যায়।
আখাউড়া-আগরতলা ১৫ কিলোমিটার রেলপথটির ১০ কিলোমিটারই বাংলাদেশ ভূখণ্ডে এবং বাকি ৫ কিলোমিটার রেললাইন বসবে ভারতের ভেতরে।
ত্রিপুরার যোগাযোগমন্ত্রী মনে করেন, এই প্রকল্প দু’দেশের আর্থ-সামাজিক ও ব্যবসা-বাণিজ্যের সম্পর্ক সুদৃঢ় করবে।