গাজীপুর প্রতিনিধি: গাজীপুরের টঙ্গীর শিলমুন পূর্বপাড়া এলাকার গৃহবধূ সাথী হত্যার ঘটনায় জড়িত তিনজনকে আটক করেছে র্যাব-১।
শনিবার আশুলিয়ার জামগড়া এলাকা থেকে তাদের আটক করা হয়।
আটকের পর তাদের টঙ্গী থানায় হস্তান্তর করা হলে রোববার তিনজনকে আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন টঙ্গী পূর্ব থানার উপ-পরিদর্শক শুভ মন্ডল।
আটক হয়েছেন মামলার প্রধান আসামী ও নিহত সাথীর স্বামী সরোয়ার হোসেন বাবু (৩০), শাশুড়ি সালেহা বেগম (৪৫) ও ভাসুর সালাহ উদ্দিন (৩৫)।
র্যাব-১ জানায়, প্রায় এক বছর পূর্বে সারোয়ার হোসেন বাবুর সাথে সাথীর বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকেই স্বামী সরোয়ার হোসেন বাবু ও তার পরিবারের লোকজন সাথীর পরিবারের কাছে পাঁচ লাখ টাকা যৌতুক দাবি করে। যৌতুকের টাকা না পেয়ে তারা একপর্যায়ে তাকে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করতে থাকে। সাথীর পিতা মেয়ে জামাইকে নগদ দুই লাখ টাকা দেয়।
এরপরও তারা বাকি টাকার জন্য তাকে নির্যাতন অব্যাহত রাখে। ঘটনার দিন সন্ধ্যায় স্বামী, শ্বশুর, শাশুড়ি ও দেবর সাথীকে যৌতুকের বাকি টাকা এনে দেয়ার জন্য চাপ দিতে থাকে। সাথী তার পরিবারের সাথে যোগাযোগ করে টাকা দিতে অপারগতা প্রকাশ করলে তারা তার উপর চড়াও হয় এবং ব্যাপক মারধর করে। নির্যাতনের এক পর্যায়ে সাথীর স্বামী তার মা-বাবা ও ভাইয়ের সহযোগিতায় গলায় ওড়না পেঁচিয়ে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে পালিয়ে যায়।
এ ঘটনায় নিহতের পিতা বাদী হয়ে টঙ্গী পূর্ব থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। হত্যাকাণ্ডের পর র্যাবের আভিধানিক দলের সদস্যরা গোপন সংবাদের ভিত্তিতে আশুলিয়ার জামগড়া এলাকা থেকে তাদের আটক করে টঙ্গী পূর্ব থানায় হস্তান্তর করে।
টঙ্গী পূর্ব থানার এসআই (উপ-পরিদর্শক) শুভ মন্ডল জানান, নিহতের বাবা বাবলু রহমান থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। পরে আসামীদের আটকের জন্য পুলিশ ও র্যাব একযোগে অভিযান শুরু করে। বাকি আসামীদের আটকের জন্য অভিযান অব্যাহত রয়েছে।