নোয়াখালীর বেগমগঞ্জের একলাশপুরে গৃহবধূকে বিবস্ত্র করে বিভৎস নির্যাতন, ধর্ষণ চেষ্টা এবং সেই ভিডিওচিত্র সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়ার ঘটনায় আরেক আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
মামলার এজাহারভুক্ত ৫ নম্বর আসামী সাজুকে (২১) ঢাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাছাড়া নির্যাতিতার আদালতে দেওয়া জবানবন্দী অনুসারে ইউনিয়ন পরিষদ মেম্বার মোয়াজ্জেম হোসেন প্রকাশ সোহাগ( ৪৮) কে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
এ নিয়ে এ ঘটনায় মোট আটকের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৬ জনে। সোমবার দিবাগত রাতে সাজুকে ঢাকার শাহবাগ থেকে ও স্থানীয় ইউপি সদস্য মোয়াজ্জেম হোসেন সোহাগকে একলাশপুর ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ড থেকে পুলিশ গ্রেপ্তার করে।
আটককৃত সাজু একলাশপুর ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ডের নোয়াব আলী বেপারী বাড়ির লোকমানের ছেলে, ইউপি সদস্য মোয়াজ্জেম হোসেন সোহাগ একলাশপুর ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য ও একই এলাকার মৃত হাজী গোলাম মোস্তফার ছেলে।
মঙ্গলবার বেগমগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো.হারুন উর রশীদ সাংবাদিকদের এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
ওসি মো. হারুন উর রশীদ আরো জানান, আদালতে ভিকটিমের জবানবন্দী অনুসারে ইউপি সদস্যকে ২২ ধারায় আটক করা হয়।
প্রায় মাসখানেক আগে দুই সন্তানের জননী ওই গৃহবধূকে বিবস্ত্র করে বেধড়ক মারধর করে ভিডিওচিত্র ধারণ করে বখাটে একদল যুবক।
রোববার দুপুরের দিকে সেই নির্যাতনের সেই ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে প্রকাশের পর ভাইরাল হয়ে। তাতে টনক নড়ে স্থানীয় প্রশাসনের।
গত ৩২ দিন অভিযুক্ত স্থানীয় বখাটেরা গৃহবধূর পরিবারকে অবরুদ্ধ করে রাখলেও ঘটনা থেকে যায় স্থানীয় এলাকাবাসী ও পুলিশ প্রশাসনের অগোচরে!
স্থানীয়রা বলছে, গত মাসের (২ সেপ্টেম্বর) উপজেলার একলাশপুর ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ডের খালপাড় এলাকার নূর ইসলাম মিয়ার বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে।
ভুক্তভোগী ওই নারী ৯ জনকে আসামি করে রোববার দিবাগত রাত ১২টার দিকে বেগমগঞ্জ থানায় দুইটি মামলা করেন।