নোয়াখালীর বেগমগঞ্জের একলাশপুরে গৃহবধূকে বিবস্ত্র করে নির্যাতন, ধর্ষণ চেষ্টা এবং তার ভিডিওচিত্র সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়ার ঘটনায় দাখিল করা প্রতিবেদন বলা হয়েছে, ওই ঘটনার মাষ্টার মাইন্ড দেলোয়ার।
প্রতিবেদনে দেলোয়ারসহ অন্য আসামিদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির সুপারিশ করেছে আদালতের নির্দেশে গঠিত তদন্ত কমিটি।
কমিটির প্রতিবেদনে বলা হয়, ওই ঘটনা নৃশংস ও নারীর জন্য অবমাননাকর। ক্ষতিগ্ৰস্তের স্বামী সুমনের আচরণ সন্দেহজনক তাকে আইনের আওতায় আনা উচিত।
ঘটনার বিবরণে জানা গেছে, দুই সন্তানের জননী ওই গৃহবধূকে বিবস্ত্র করে বেধড়ক মারধর করে ভিডিওচিত্র ধারণ করে বখাটে একদল যুবক।
ঘটনার একমাস পর ৪ অক্টোবর রোববার দুপুরের দিকে সেই নির্যাতনের সেই ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে প্রকাশের পর ভাইরাল হয়ে। তাতে টনক নড়ে স্থানীয় প্রশাসনের।
এর আগে ৩২ দিন অভিযুক্ত স্থানীয় বখাটেরা গৃহবধূর পরিবারকে অবরুদ্ধ করে রাখলেও ঘটনা থেকে যায় স্থানীয় এলাকাবাসী ও পুলিশ প্রশাসনের অগোচরে!
স্থানীয়রা জানায়, ২ সেপ্টেম্বর উপজেলার একলাশপুর ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ডের খালপাড় এলাকার নূর ইসলাম মিয়ার বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে।
এই ঘটনায় ৯ জনকে আসামি করে দুটি মামলা দায়ের করেন নির্যাতিতা নারী। একটি মামলা করা হয় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে। আরেকটি পর্নোগ্রাফি নিয়ন্ত্রণ আইনে।
দুটি মামলাতেই প্রথম আসামি বাদল (২২)। মামলা দুটির অন্য আসামিরা হলো, রহিম (২০), আবুল কালাম (২২), ইস্রাফিল হোসেন মিয়া (২২), সাজু (২১), সামছুউদ্দিন সুমন (৩৯), আব্দুর রব চৌধুরী মিয়া লম্বা চৌধুরী (৪৮), আরিফ (১৮) ও রহমত উল্যা (৪১)।
এছাড়াও এই ঘটনার পেছনে ইন্ধনদাতা হিসেবে দেলোয়ার নামে আরেকজনকে নারায়ণগঞ্জ থেকে আটক করে র্যাব।