রাজধানীর দক্ষিণ বনশ্রী এলাকার একটি বাড়িতে গৃহকর্মী লাইলী বেগমের রহস্যজনক মৃত্যুর ঘটনায় গৃহকর্ত্রী শাহনাজকে গ্রেফতার করেছে। ওই ঘটনায় খিলগাঁও থানায় হত্যাসহ ২টি আলাদা মামলা দায়ের করা হয়েছে।
শনিবার ভোরে বনশ্রী বি-ব্লকের ৪ নম্বর রোডের নিজ বাড়ি থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয় বলে চ্যানেল আই অনলাইনকে জানান খিলগাঁও থানার পরিদর্শক (অপারেশন) মোস্তাফিজুর রহমান।
তিনি বলেন: সকালে তাকে বাড়ি থেকে নিয়ে আসা হয়েছে, এখন জিজ্ঞাসাবাদ চলছে। এর আগে শুক্রবার গৃহকর্তা মুন্সী মইনউদ্দিন ও বাড়ির দারোয়ান তোফাজ্জলকেও গ্রেফতার করা হয়।
শুক্রবার দিবাগত রাতে লাইলীর স্বামী নজরুল ইসলামের বড় ভাই শহীদুল ইসলাম বাদী হয়ে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলায় ৬ জনকে আসামী করা হয়েছে। এর মধ্যে ৩ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। বাকি তিন আসামীর বিষয়ে তাৎক্ষণিকভাবে জানা যায় নি।
আরেকটি মামলা দায়ের করেন খিলগাঁও থানার এসআই মঞ্জুরুল ইসলাম। এ মামলায় ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ, সরকারী কাজে বাধা এবং জননিরাপত্তা বিঘ্নিত করার অভিযোগ এনে ২০০ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামী করা হয়েছে।
মঞ্জুরুল জানান, এই অজ্ঞাত আসামীদের চিহ্নিত ও তাদের ধরার জন্য অভিযান চালানো হচ্ছে।
শনিবার ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিহতের লাশের ময়নাতদন্ত সম্পন্ন হয়েছে।
শুক্রবার সকালে বনশ্রীর জি ব্লকের ৪ নম্বর রোডের ১৪ নম্বর বাসার নিচতলায় গৃহকর্তা মইনউদ্দিনের বাসায় গৃহকর্মী লাইলীকে ফ্যানের সঙ্গে ঝুলন্ত অবস্থায় পাওয়া যায়। পরে বাসার সদস্যরা তাকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
লাইলীকে হত্যা করা হয়েছে- স্বজনদের এমন অভিযোগের পর ওই বাড়িতে হামলা, ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটে। এক পর্যায়ে পুলিশের সঙ্গেও সংঘর্ষে জড়ান বিক্ষুদ্ধ এলাকাবাসী।