গুহায় আটকে পড়া ১২ কিশোর ফুটবলার ও তাদের তরুণ কোচকে উদ্ধার করতে গিয়ে একজন ডুবুরির মৃত্যু হয়েছে বলে ঘোষণা দিয়েছে সেখানকার কর্তৃপক্ষ। তিনি থাই নেভি সিলের একজন সাবেক ডুবুরি ছিলেন।
মৃত ডুবুরির নাম সামার্ন কুনান, তার বয়স ৩৮। স্বেচ্ছায় এই উদ্ধার অভিযানে সহযোগিতা করছিলেন তিনি।
সম্ভাব্য উদ্ধার অভিযানের অংশ হিসেবে রাত ১টার দিকে গুহায় অক্সিজেনের ট্যাঙ্ক বসানোর সময়েই অক্সিজেনের অভাবে মারা যান তিনি। তার মৃতদেহ উদ্ধার করে ব্যাংককের সুবর্ণভুমি বিমানবন্দরে পাঠানো হয়েছে।
তবে তার মৃত্যু এই উদ্ধার অভিযানকে কতটা প্রভাবিত করবে তা নিশ্চিত নয়। একটি পরিকল্পনা করা হচ্ছে যে ডাইভিং মাস্ক পরিয়ে নেভি ডাইভাররা তাদের গুহার ভেতর থেকে বের করে আনবেন। তবে সেখানকার একজন মুখপাত্রের বক্তব্য, একজন প্রাপ্তবয়স্ক নেভি সিলই ওখানে মৃত্যুবরণ করছে, তাহলে বাচ্চারা কিভাবে সেটা পারাপার হবে?
এরই মধ্যে তাদের মেডিকেল রিপোর্ট বলছে, অপুষ্টি থেকে শ্বাসকষ্টের সমস্যায় আক্রান্ত হয়েছে দুই ফুটবলার ও তাদের কোচ।
গত ২৩ জুন থেকে এ পর্যন্ত থাইল্যান্ডের চিয়াং রাই শহরের ন্যাশনাল পার্ক লাগোয়া জঙ্গলাকীর্ণ পাহাড়ি এলাকার থাম লুয়াং নাং নন গুহায় আটকা পড়ে আছে ১২ কিশোর ফুটবলার আর তাদের ২৫ বছর বয়সী কোচের দলটি।
টানা ৯ দিনের চেষ্টায় তাদের কাছে পৌঁছানোর পর আরও ৪ দিন পেরিয়ে গেলেও দলটিকে বের করে আনার ব্যবস্থা করতে পারেনি উদ্ধার কর্তৃপক্ষ। তার মূল কারণ টানা অতিবৃষ্টিতে গুহার ভেতর সৃষ্ট তীব্র স্রোতের বন্যা আর গুহার গিরিপথের প্রতিকূল গঠন।