ডিএনএ টেস্টের মাধ্যমে গুলশানের হলে আর্টিজান রেস্তোরায় নিহত ৫ জঙ্গিসহ সন্দেহভাজন এক জনের পরিচয় নিশ্চিত করেছে পুলিশ। জঙ্গিদের পরিচয় নিশ্চিত হওয়াতে জঙ্গি হামলার ঘটনায় অর্থ ও অস্ত্র যোগানদাতা মাস্টার মাইন্ডদের সনাক্ত করা আরো সহজ হবে বলে মনে জানান সংশ্লিষ্টরা।
গুলশানে ঐ রেস্তোরাতে হামলার সময় জঙ্গিরা শক্তিবর্ধক কিছু খেয়েছিলো কি না তা জানতে জঙ্গিদের সংগৃহীন নমুনা পাঠানো হয় ‘এফবিআইতে’। জঙ্গিদের ‘ডিএনএ’র নমুনা পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয় ‘সিআইডি’র ‘ডিএনএ’ ল্যাবরেটরিতেও। সংগৃহীত ছয় জনের ওই ‘ডিএনএ’ নমুনা পরিবারের নিকটজন বিশেষ করে মা-বাবার সাথে মিলিয়ে দেখার পরই তাদের পরিচয় নিশ্চিত করা হয়।
মঙ্গলবার সাংবাদিকদের একথা জানায় ডিএমপি‘র উপ-কমিশনার মোহাম্মদ মাসুদুর রহমান।
হলে আর্টিজান রেস্তোরায় জঙ্গি হামলার ঘটনায় ঢাকা মেডিকেল কলেজের ফরেনসিক মেডিসিন বিভাগ পাঁচ জঙ্গিসহ সন্দেহ ভাজন এক জনের ‘ডিএনএ’ নমুনা সংগ্রহ করে। মুলত ডিএমপি’র কাউন্টার টেরিরিজম ইউনিটের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে গত ১২ই জুলাই আদালত চিঠি দিয়ে ঐ জঙ্গিদের নমুনা সংগ্রহের আদেশ দিলে দ্বিতীয় দফায় জঙ্গিদের নমুনা সংগ্রহ করা হয়।
এর আগে জাতীয় তথ্য ভাণ্ডারে সংরক্ষিত তথ্যের সাথে নিহত ঐ ৬ জনের পরিচয়পত্র মিলিয়ে তাদের সনাক্ত করেছিলো ডিএমপি’র কাউন্টার টেরিরিজম ইউনিট। কল্যাণপুরে অপর জঙ্গি আস্তানায় নিহত নয় জঙ্গির মধ্যে আট জনের পরিচয় পাওয়া গেছে। এর মধ্যে সাত জনের ডিএনএ পরীক্ষা শেষ হয়েছে।
গত ১ জুলাই গুলশানের হলে আর্টিজান রেস্টুরেন্টে হামলা চালিয়ে ২২ জনকে হত্যা করে জঙ্গিরা। এসময় পুলিশের দুজন কর্মকর্তাও নিহত হন। পরে পুলিশের পাল্টা অভিযানে নিহত হয় এক সন্দেহভাজনসহ ৬ জঙ্গি। পরে হামলায় জড়িত সন্দেহে আটক করা হয় ঘটনাস্থলে থাকা তাহমিদ ও হাসনাতকে।