গুলশানের হলি আর্টিজান রেস্টুরেন্টে হামলায় তামিম চৌধুরী এবং মারজানের সম্পৃক্ততা সম্পর্কে নিশ্চিত হওয়ার পাশাপাশি আরও ৭-৮ জনকে নতুন করে সনাক্ত করেছে গোয়েন্দা পুলিশ। সন্দেহভাজন ব্যক্তিদের আটক করতে পারলেই হামলা ও হত্যার নেপথ্যের সব তথ্য বের করা যাবে বলে দাবি করছে পুলিশ।
গুলশানের হলি আর্টিজান রেস্টুরেন্টে সন্ত্রাসী হামলায় জড়িত সন্দেহে আরো ৮ ব্যক্তিকে সনাক্ত করতে পেরেছে গোয়েন্দা পুলিশ। ডিএমপির মিডিয়া সেন্টারে মামলার তদন্তের সর্বশেষ জানতে অপেক্ষায় থাকা সাংবাদিকদের এমন তথ্য জানিয়েছে তদন্ত সঠিক পথেই চলছে বলে দাবি করেন ডিএমপির কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিট প্রধান মনিরুল ইসলাম।
তিনি বলেন, নতুন করে আরও সাত আটজনকে আমরা শনাক্ত করেছি। তাদের সম্পর্কে তথ্য পাচ্ছি যাতে গুলশানের ঘটনার সঙ্গে বিভিন্ন পর্যায়ে তারা দ্বায়িত্ব পালন করেছে, তাদের কাউকে কাউকে আমরা সাংগঠনিক নামে পরিচয় পেয়েছি। বাদ বাকিদের ছবি ও পরিচয় পাওয়া গেলে তদন্তের কাজে সুবিধা হবে।
হামলার মূল পরিকল্পনাকারী হিসেবে প্রবাসী বাংলাদেশী তামিম চৌধুরী এবং মারজানের নাম এসেছে বলে জানিয়েছে মনিরুল ইসলাম।
ডিএমপির কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিট প্রধান আরও বলেন, মারজানের ছবি পেয়েছিলাম, তারও পরিচয়ও এখন নিশ্চিত। তামিমের পরিচয় আমরা জানি। মারজান সম্পর্কে যতোটুকু জেনেছি তা হলো গুলশান হামলার হ্যান্ডলার ছিল, সে নানাভাবে তাদেরকে হামলায় ব্যবহার করেছে।
পূর্বের কোনো নাশকতায় মারজানের সম্পৃক্ততা আছে কিনা এ ব্যাপারে মনিরুল ইসলাম বলেন, মারজানকে গ্রেফতার করা গেলে এ ব্যাপারে আরো তথ্য পাওয়া যাবে।
গুলশানের হলি আর্টিজানে হত্যাকান্ডের মামলায় গ্রেফতার দেখানো নর্থসাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক হাসনাত করিম ও সন্দেহজনক ধারায় গ্রেফতার দেখানো তামজিদের কাছ থেকেও গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পাওয়া কথা জানিয়েছে পুলিশ।