গুলশানে হলি আর্টিজান বেকারিতে সন্ত্রাসীদের হাতে নিহত ২০ জনের মধ্যে একজন ভারতীয় শিক্ষার্থী আছেন বলে টুইট করেছেন ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী সুষমা স্বরাজ।
টুইট বার্তায় ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী জানান,নিহত ওই শিক্ষার্থীর নাম তারুশি জৈন এবং যুক্তরাষ্ট্রে পড়ালেখা করা এই ছাত্রী বাবার সঙ্গে ছুটি কাটাতে বাংলাদেশে এসেছিলেন।
তারিশির বাবা বাংলাদেশে ১৫-২০ বছর যাবৎ গার্মেন্টস ব্যবসা করেন বলে টুইটে জানানো হয়।
রাজধানীর গুলশানে হলে আর্টিজান ক্যাফেতে সন্ত্রাসীদের হাতে মোট ২০ জন নিহত হয় বলে জানায় সেনাবাহিনী।
নিহতদের সবাই বিদেশি বলেও সেনাবাহিনীর সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়। সামরিক অপারেশন পরিদপ্তরের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল নাঈম আশফাক চৌধুরী বলেন, নিহতদের বেশিরভাগকেই রাতের বেলা ধারালো অস্ত্রের আঘাতে হত্যা করা হয়েছে।এর আগে গতরাতে জঙ্গিদের গুলিতে ২ পুলিশ সদস্য নিহত হন।
প্রেস ব্রিফিংয়ে জানানো হয়, ‘অপারেশন থান্ডারবোল্ট ‘ নামের ১২ থেকে ১৩ মিনিটের মূল অভিযানে হামলাকারী ৭ জঙ্গির ৬ জন নিহত হয়। তবে, এক সন্দেহভাজনকে আটক করতে পারে যৌথবাহিনী।
অভিযানের মধ্য দিয়ে ১৩ জিম্মিকে ওই রেস্টুরেন্ট থেকে জীবিত উদ্ধার করা হয়। তাদের মধ্যে ১ জন জাপানি ও ২ জন শ্রীলঙ্কার নাগরিক।
এছাড়া অভিযান শেষে তল্লাশি চালানোর সময় রেস্টুরেন্টের ভেতরে ২০ জনের মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়। গত রাতেই তাদেরকে হত্যা করা হয় বলে জানান ব্রিগেডিয়ার নাঈম আশফাক। বেশিরভাগকেই ধারালো অস্ত্র দিয়ে হত্যা করা হয়।
মৃতদেহগুলোকে প্রচলিত নিয়ম মেনে সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে ময়নাতদন্ত করা হবে বলেও জানান তিনি।
নিহতদের পরিচয় নিশ্চিত করার উদ্দেশ্যে কোনো প্রশ্ন থাকলে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর প্রভোস্ট মার্শালের সঙ্গে ০১৭৬৯০১২৫২৪ নাম্বারে যোগাযোগ করতে অনুরোধ করেন ব্রিগেডিয়ার জেনারেল।