গুলশানের ঘটনা তদন্তে বাংলাদেশের পুলিশের সক্ষমতা রয়েছে, তবে কোনো দেশ কারিগরি সহযোগিতা দিতে চাইলে তা গ্রহণ করা হবে বলে জানিয়েছেন ডিএমপি কমিশনার আছাদুজ্জামান মিয়া।
জঙ্গি ও সন্ত্রাসীদের মূলোৎপাটনে আরো কঠোর ভূমিকা নেয়া হবে বলেও জানিয়েছেন তিনি।
পহেলা জুলাই রাতে গুলশানের হলে আর্টিজান বেকারী অ্যান্ড রেষ্টুরেন্টে জঙ্গি হামলার ঘটনায় নিহতদের স্মরণে এখনো বিভিন্ন শ্রেণী-পেশার মানুষ এবং সংগঠনের প্রতিনিধিরা ঘটনাস্থলে ফুল নিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করছেন। ওই রেস্টুরেন্টের সামনে অতিরিক্ত পুলিশ ও গোয়েন্দা মোতায়েন করা হয়েছে। কাউকেই রেষ্টুরেন্ট এলাকার ভেতরে ঢুকতে দেয়া হচ্ছে না।
ওই ঘটনার পর থেকে গুলশান, বারিধারা ও বনানী কূটনৈতিক এলাকার নিরাপত্তা আরো জোরদার করা হয়েছে। এই এলাকার নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা পুলিশের উপ-কামশনার জসিম উদ্দিন জানিয়েছেন, হামলার পেক্ষাপটে বিভিন্ন দূতাবাস ও বিদেশী মালিকানাধীন রেষ্টুরেন্টগুলো তাদের নিরাপত্তা বাড়ানোর কথা বলে চিঠি দেওয়া হয়েছে।
তিনি বলেন, সবাই চাইছে নিরাপত্তা যেন আরো জোরদার করা হয়। আমরাও সেভাবেই পেট্রোলিংয়ের আওতায় সবকিছু নিয়ে আসছি। জোন ভাগ করে, টিম ভাগ করে আমরা সবদিকেই খেয়াল রাখছি। সব জায়গা আমাদের নজরদারীতে রয়েছে।
পুলিশ কর্মকর্তারা বলছেন, গুলশানের এই হামলার ঘটনায় জেএমবির জঙ্গিরা জড়িত। তবে নিহত জঙ্গিরা ছাড়াও এই হামলার পেছনে আর কারা জড়িত রয়েছে সে বিষয়ে এখনো নিশ্চিত হতে পারেনি তারা।
ডিএমপি কমিশনার আছাদুজ্জামান মিয়া বলেন, এই সব ঘৃণ্য পথ অবলম্বন করেছে একটি গোষ্ঠী। তারা আবার আমাদের কোমলমতি শিশুদের বিপথে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছে। সবাই মিলে তাদের প্রতিহত করতে হবে। এজন্য আমাদের ঐক্যবদ্ধ হওয়া খুব জরুরি। আমাদের ট্রেনিংয়ের প্যাটার্নে বদল আনতে হবে। কর্মপরিকল্পনা ও কর্মপদ্ধতিও আমরা পরিবর্তন করে ফেলবো।
ডিএমপি কমিশনার বলছেন, গুলশানের ঘটনা মাথায় রেখেই জঙ্গি দমনে কৌশল পরিবর্তন করা হবে।