২০০৯ সাল থেকে ২০১৮ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত বিএনপির ২৫ লাখ ৭০ হাজার ৫৪৭ জন নেতাকর্মীকে আসামী করা হয়েছে দাবি করে বিএনপি বলেছে, আগামী নির্বাচন থেকে বিএনপিকে দূরে রাখতে সব ধরনের প্রচেষ্টা অব্যাহত রেখেছে সরকার। তারা আবারও ২০১৪ সালের মতো একদলীয় নির্বাচনের দিকে ধাবিত হচ্ছে।
শনিবার নয়াপল্টনে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ২০০৯ সাল থেকে বিএনপির বিরুদ্ধে মামলা, আসামী, গ্রেপ্তার, গুম, খুনের একটি পরিসংখ্যান তুলে ধরে এসব কথা বলেন।
পরিসংখ্যানে বলা হয়, ২০০৯ সাল থেকে ৩০ সেপ্টেম্বর, ২০১৮ পর্যন্ত মোট মিথ্যা মামলার সংখ্যা ৯০ হাজার ৩৪০টি, মোট আসামীর সংখ্যা ২৫ লাখ ৭০ হাজার ৫৪৭ জন, কারাগারে বন্দি ৭৫ হাজার ৯২৫ জন, মোট হত্যার সংখ্যা ১ হাজার ৫১২ জন। এর মধ্যে আইনশৃঙ্খলাবাহিনী দ্বারা বিএনপি নেতাকর্মীর হত্যার সংখ্যা ৭৮২ জন।
এছাড়া মোট গুমের সংখ্যা ১ হাজার ২০৪ জন, এর মধ্যে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হেফাজত থেকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়- ৭৮১ জন এবং বিএনপির গুম ছিলো ৪২৩ জন, বর্তমান বিএনপি নেতাকর্মীদের মোট গুম সংখ্যা ৭২ জন এবং আইনশৃঙ্খলা বাহিনী কর্তৃক গুরুতর জখম ও আহত হয়েছে ১০,১২৬ জন।
এতে আরো বলা হয়, ১ সেপ্টেম্বর থেকে ৫ অক্টোবর পর্যন্ত সারা দেশে বিএনপি নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে মোট প্রাপ্ত গায়েবি মিথ্যা মামলা, আসামী হলো- মোট মামলা ৪১৪৯ টি, জ্ঞাত আসামীর সংখ্যা ৮৬ হাজার ৬৯২ জন, অজ্ঞাত আসামী ২ লাখ ৭৬ হাজার ২৭৭ জন, গ্রেপ্তারের সংখ্যা ৪ হাজার ৬৮৪ জন৷
মির্জা ফখরুল বলেন, এসবের একটিই উদ্দেশ্য সরকারের৷ তাহলো গায়েবী মামলায় সারাদেশে জনগণের মধ্যে উদ্বেগ-উৎকণ্ঠা তৈরি করে আগামী নির্বাচন থেকে বিএনপিকে দূরে রাখা৷ ২০১৪ সালের মতো আরেকটি ভোটারবিহীন ও বিরোধী দলবিহীন নির্বাচনের কূটকৌশল নিচ্ছে সরকার।
তিনি বলেন, দেশে-বিদেশে বক্তৃতার সময় তারা বলেন যে, দেশে নির্বাচনের সুষ্ঠু পরিবেশ আছে৷ অথচ তা সম্পূর্ণ মিথ্যা। সরকারের কার্যক্রম থেকে প্রমাণিত হয় সরকার সর্বোচ্চ প্রচেষ্টা চালাচ্ছে যেন বিএনপি নির্বাচনে যেতে না পারে৷ এ কারণে বেগম খালেদা জিয়াকে মুক্তি দেয়া হচ্ছে না৷
ফখরুল বলেন, আমরা আবারও বলছি যে, খালেদা জিয়াকে মুক্তি দিন, সকল মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার করুন। আমাদের যে, ৭ দফা তা পূরণ করতে হবে৷ নয়ত এখানে কোনো নির্বাচনের পরিবেশ থাকবে না।