এ বছরের প্রথম ৬ মাসে গুগলের কাছে ৯টি অ্যাকাউন্টের মোট ৮ টি তথ্য জানতে চেয়েছে বাংলাদেশ সরকার। সরকারের চাওয়া এই আটটি আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ২৫ শতাংশ তথ্য সরবরাহ করার কথা জানিয়েছে গুগল।
ব্যবহারকারীর গোপনীয়তা এবং রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তার ভারসাম্য রক্ষার পদক্ষেপ হিসেবে সার্চ ইঞ্জিন জায়ান্টের ট্রান্সপারেন্সি রিপোর্টে এসব তথ্য জানানো হয়।
এবার প্রকাশিত গুগলের এই স্বচ্ছতা প্রতিবেদনে দাবি করা হয়, বাংলাদেশ সরকারের তথ্য চাওয়ার হার বেড়েছে। ২০১৫ সালের জুলাই থেকে ডিসেম্বরে ৭টি আবেদনে ১৩টি অ্যাকাউন্টের তথ্য চাওয়া হয়। ২০১৬ সালের প্রথম ৬ মাসে দুটি অনুরোধে তিনটি অ্যাকাউন্টের তথ্য চাওয়া হয়েছিলো। ২০১৬ সালের শেষ ৬ মাসে ৩ অনুরোধে ৩ অ্যাকাউন্টের তথ্য চাওয়া হয়েছিলো। এবার সরকারের তরফ থেকে মোট আটটি আবেদন করা হয়।
বিভিন্ন দেশের সরকার সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড, সে দেশের নিরাপত্তা ইত্যাদির কারণে বিভিন্ন ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের গুগল অ্যাকাউন্টের তথ্য জানতে চেয়ে অনুরোধ বা আবেদন করে। সেই আবেদনের ভিত্তিতে এই ট্রান্সপারেন্সি রিপোর্ট তৈরি করে গুগল।
গুগল বলছে, তাদের কাছে আসা প্রতিটি অনুরোধ তারা খতিয়ে দেখে। যদি অনুরোধ বা আবেদনটি সংশ্লিষ্ট দেশের আইন অনুযায়ী হয় এবং গুগলের নিয়মনীতির মধ্যে পড়ে, তাহলেই কেবল তথ্য দেওয়া হয়। যদি কোনো অনুরোধে অতিরিক্ত তথ্য চাওয়া হয়, তবে সে ক্ষেত্রে কিছু সংকুচিত করে তথ্য দেয় গুগল।
২০১৭ সালের জানুয়ারি থেকে জুন মাস পর্যন্ত বিশ্বের নানা দেশের সরকারের কাছ থেকে ৪৮ হাজার ৯৪১টি অনুরোধ বা আবেদন পায় গুগল। এসব আবেদনে মোট ৮৩ হাজার ৩৪৫টি গুগল অ্যাকাউন্টের তথ্য জানতে চাওয়া হয়েছে।
বিভিন্ন দেশের সরকারের কাছ থেকে গুগলের কাছে তথ্য চেয়ে যে আবেদন পাঠানো হয় সেসম্পর্কে প্রাতিষ্ঠানিক জবাবদিহিতার অংশ হিসেবে প্রতি ছয় মাস পর পর এ প্রতিবেদন প্রকাশ করে গুগল।