বিপিএলের মাঝপথে সিলেট থান্ডারের কোচ হার্শেল গিবস বলেছিলেন, দলের খেলোয়াড়দের সঙ্গে ভাষাগত দূরত্ব মাঠের পারফরম্যান্সে প্রভাব ফেলছে। সাউথ আফ্রিকার সাবেক ক্রিকেটার দাবি করেন, তার ইংরেজি বুঝতে পারছেন না বাংলাদেশের খেলোয়াড়রা। কোচের এমন কথার সঙ্গে একমত নন দলটির ক্যারিবীয় ওপেনার আন্দ্রে ফ্লেচার।
‘আমি কোচ নই। তাছাড়া আমার সঙ্গে দলের সবার বোঝাপড়া ভালোই। তারা কিন্তু আমাকে বেশ ভালো বুঝতে পারে। একজন কোচের মুখ থেকে একথা (বাংলাদেশের খেলোয়াড়রা ইংরেজি বোঝেন না) শুনে বিস্মিত হয়েছি। দলের পারফরম্যান্সের জন্য আমাদেরই দায়িত্ব নিতে হয়। এজন্য কাউকে দোষারোপ করতে পারি না। আমি বিশ্বাস করি বাংলাদেশের সব খেলোয়াড়ই ইংরেজি বোঝে। বাংলাদেশ দলে তো বিদেশি কোচরাই কাজ করে। তারা ইংরেজিতেই কথা বলে! ঠিক বুঝতে পারছি না, সে(গিবস) কী বলতে চেয়েছে। এর কোনো মানেই নেই।’
সিলেট থান্ডারে খেলেছেন জাতীয় দলে খেলা বেশ কয়েকজন ক্রিকেটার। মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত, মোহাম্মদ মিঠুন, নাঈম হাসান, ইবাদত হোসেন, নাজমুল ইসলাম অপু, সোহাগ গাজীরা। যারা জাতীয় দলে ক্যারিয়ারের শুরু থেকেই বিদেশি কোচিংস্টাফের অধীনে কাজ করেছেন।
গিবস কোচ হয়ে এসে শুধু হতাশাই উপহার দিয়ে গেছেন দলকে। ১২ ম্যাচে তার দল সিলেট থান্ডার জিতেছে মাত্র একটিতে। টানা চার ম্যাচ হেরে টুর্নামেন্ট শুরু করা সিলেট পঞ্চম ম্যাচে পায় জয়ের দেখা। চট্টগ্রামে খুলনা টাইগার্সকে তারা হারিয়েছিল ৮০ রানের বড় ব্যবধানে। ফ্লেচার খেলেছিলেন ১০৩ রানের অপরাজিত ইনিংস। সেটিই একমাত্র ও শেষ জয় সিলেটের।
পরের সাত ম্যাচে হার সঙ্গী হয়েছে তাদের। হোম ভেন্যু সিলেট আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে টানা তিন দিনে তিনটি ম্যাচ খেললেও ঘোরেনি ভাগ্যের চাকা। বিপিএলের সব আসর মিলিয়ে সবচেয়ে বাজে ফল করেছে তারা। ২০১২ সালে বিপিএলের প্রথম আসরে ১০ ম্যাচে ২ জয় ছিল সিলেট রয়্যালসের। পরে ২০১৫ বিপিএলে ১০ ম্যাচে ২ জয় নিয়ে লজ্জার রেকর্ড স্পর্শ করে চিটাগং ভাইকিংস। ২০১৭ সালে ১২ ম্যাচে ২টিতে জিতেছিল খুলনা টাইটানস।