স্টাম্প ও পপিং ক্রিজের মাঝে একটি ব্যাট আলতো করে রাখলেন ওটিস গিবসন। পেস বোলিং কোচের দেখানো নিশানায় আঘাত করল মোস্তাফিজুর রহমানের বল। মাটিতে পড়ে থাকা ব্যাট শূন্যে লাফিয়ে উঠল। দূর থেকেই আঁচ করা গেল কতটা দ্রুতগতির ডেলিভারি। পারফেক্ট ইয়র্কার!
গিবসন যেটি চেয়েছিলেন, প্রথম বলেই সেটি করতে পেরেছেন মোস্তাফিজ। তাতে ক্যারিবিয়ান বোলিং কোচের চোখে-মুখে বিস্ময়ের সঙ্গে ছিল আনন্দের ঝিলিক। দুই হাত ছড়িয়ে দিয়ে এগিয়ে আসেন মোস্তাফিজের দিকে।
বিকেলে তাসকিন-শহিদুল-শরিফুল-নাসুম-মেহেদীরা যখন মিরপুরের ইনডোরের আউটার মাঠের নেটে কয়েক গ্রুপে ভাগ হয়ে বোলিং নিয়ে ব্যস্ত, মোস্তাফিজ তখন শের-ই-বাংলা স্টেডিয়ামের সেন্টার উইকেটে গিবসনের বিশেষ ক্লাসে। দুজন নিজেদের মতো করে কাজ করেছেন ৪০ মিনিট। নিজেদের মধ্যে বোলিং নিয়ে কথাও হয়েছে কাজের ফাঁকে ফাঁকে।
গতিময় ডেলিভারির সঙ্গে কীভাবে কাটার করানো যায় সেটি নিয়েই কাজ হয়েছে বেশি। তাতে বেশ ভালোও করেছেন টাইগার পেসার।
স্টাম্প বরাবর রাখা ব্যাট পরে অনেকটা ডানে সরিয়ে দেন গিবসন। ডানহাতি ব্যাটারের সামনে ওয়াইড ইয়র্কার নিয়েও হয়েছে কাজ। দারুণ একটি সেশনের পড়ন্ত বিকেলে দুজন স্বস্তি নিয়ে মাঠ ছাড়েন।
টি-টুয়েন্টি বিশ্বকাপে একদমই বিবর্ণ ছিলেন মোস্তাফিজ। পাকিস্তানের বিপক্ষে সিরিজে বাঁহাতি পেসারের জ্বলে ওঠা কতটা গুরুত্বপূর্ণ সেটি হয়ত অনুধাবন করতে পারছেন গিবসন।
সেজন্যেই আলাদা করে কাজ শিষ্যকে নিয়ে। অনুশীলন দেখে অনুমান করা যাচ্ছিল নতুন কিছু শেখাতে চেয়েছেন গিবসন। পাকিস্তানের বিপক্ষে ম্যাচে মোস্তাফিজ তা প্রয়োগ করতে পারলেই হয়!
মরুর দেশে আইপিএলে দুর্দান্ত ছিলেন মোস্তাফিজ। একই কন্ডিশনে বিশ্বকাপে দেশের জার্সি জড়িয়ে প্রত্যাশা মেটাতে পারেননি। ৭ ম্যাচে ৮ উইকেট নিয়েছেন, রান খরচ করেন ৯.২৫ হারে। যা মোস্তাফিজের সামর্থ্যের সঙ্গে বড্ড বেমানানই!