রাজধানীর উত্তরায় উবার চালক মো. আরমানকে (৪২) গলাকেটে খুনের ঘটনায় ৩ জনকে গ্রেপ্তার করেছে মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)।
প্রাথমিকভাবে তাদের নাম-পরিচয় বিস্তারিত জানা যায়নি। পুলিশ জানায়, ছিনতাইকারীরা গাড়ি ছিনতাইয়ের উদ্দেশ্যেই উবার চালক আরমানকে হত্যা করে।
শনিবার রাজধানীসহ এর আশপাশের কয়েকটি এলকায় অভিযান চালিয়ে তাদেরকে গ্রেপ্তার করা হয়। এ সময় হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত ধারালো অস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে।
ডিবি পুলিশের উপ-কমিশনার (ডিসি, উত্তর) মো.মশিউর রহমান চ্যানেল আই অনলাইনকে জানান, উবার চালক আরমান হত্যার ঘটনায় ৩ জন আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। রোববার আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ বিষয়ে বিস্তারিত জানানো হবে।
পুলিশ কর্মকর্তারা জানান, মূলত গাড়ি ছিনতাইয়ের উদ্দেশ্যেই হত্যাকারীরা চালক আরমান ওরফে আমানকে (৪২) গলাকেটে হত্যা করে। ছিনতাইকারীরা ৮ লাখ টাকায় এলিয়ন গাড়ি সরবরাহের জন্য এক পার্টির সঙ্গে চুক্তি করেছিল। এজন্য তারা পরিকল্পনা করে অ্যাপসে পরিচালিত উবার গাড়িগুলোকে।
গত ১৪ জুন রাতে রামপুরা বনশ্রী ইস্টার্ন হাউজিং এলাকা থেকে তারা অ্যাপসে উবারের গাড়ি সার্চ করতে থাকে। প্রথম তিনবার সার্চে এক্স করল্লাসহ অন্যান্য গাড়ি মিলছিল, কিন্তু এলিয়ন গাড়ি পাওয়া যাচ্ছিল না। শেষে আরমানের গাড়িটি পায় তারা। উত্তরা যাওয়ার কথা বলে তারা গাড়িতে উঠে বসে। এরপরই তারা আরমানকে হত্যা করে। কিন্তু আশপাশে লোকজন বেশি থাকায় লাশসহ গাড়ি রেখেই পালিয়ে যায় তারা।
জানা যায়, গ্রেপ্তার ৩ জন আরমান হত্যাকাণ্ডে অংশ নিয়েছিল। গ্রেপ্তারের পর তাদের দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে উত্তরা ১৪ নম্বর সেক্টরের ১৬ নম্বর রোডের ড্রেন থেকে হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত একটি ধারালো অস্ত্র উদ্ধার করা হয়।
গত ১৩ জুন রাতে রাজধানীর উত্তরা ১৪ নম্বর সেক্টরের ১৬ নম্বর সড়কে একটি প্রাইভেটকার (ঢাকা মেট্রো- গ-২৫-৪৫৪৫) থেকে উবার চালক আরমানের গলকাটা মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
এ ঘটনায় পরদিন উত্তরা পশ্চিম থানায় নিহতের স্ত্রী রাবেয়া খাতুন বাদী হয়ে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।