জুভেন্টাসে ৩০ মিলিয়ন ইউরো বা তার চেয়ে বেশি বেতন পেতে পারেন ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো। ফুটবলে এর চেয়ে বেশি বেতন পান কেবল দুজন; বার্সেলোনায় লিওনেল মেসি ও পিএসজিতে নেইমার। তবে ফুটবলের বাইরে একজনকে নিয়ে ঈর্ষা করতে পারেন সিআর সেভেন। কারণ কেবল রেসিং কার চালিয়ে তার এবং নেইমারের চেয়ে বেশি পান একজন ড্রাইভার।
তবে ড্রাইভার হলেও যে সে ড্রাইভার নন। কারণ নাম তার লুইস হ্যামিলটন। চালান বিশ্বের অন্যতম দ্রুততম যান ফর্মুলা ওয়ান কার। বিশ্বের ব্যয়বহুল খেলাটির সবচেয়ে কাঙ্ক্ষিত ড্রাইভার এই ব্রিটিশ তারকা চারবারের বিশ্ব চ্যাম্পিয়নও।
সবচেয়ে কাঙ্ক্ষিত বলেই তার বেতন বাড়িয়ে দিতে কার্পণ্য করেনি বিখ্যাত গাড়ি নির্মাতা প্রতিষ্ঠান ও ফর্মুলা ওয়ানের অন্যতম প্রতিযোগী মার্সিডিজ। হ্যামিলটনকে বছরে সর্বোচ্চ ৪০ মিলিয়ন পাউন্ড বেতন দেবে প্রতিষ্ঠানটি, বাংলাদেশি মুদ্রায় যা প্রায় ৪৪০কোটি টাকা! চুক্তি ২০২০ পর্যন্ত।
ফুটবলে নেইমারকে ৩৭ মিলিয়ন ইউরো বেতন দেয় পিএসজি। আর মেসির বেতন আনুমানিক ৫০ মিলিয়ন ইউরো। অর্থাৎ, এক মেসিই বেতনে টপকে যেতে পেরেছেন হ্যামিলটনকে।
কিন্তু এখানেও খাদ আছে। কারণ ইউরোর মূল্যমান পাউন্ডের মূল্যমান থেকে কম হওয়ায় মেসির কাছাকাছি চলে এসেছেন ব্রিটিশ ফর্মুলা ওয়ান ড্রাইভার। বাংলাদেশি মুদ্রায় বার্ষিক ৪৮৯কোটি বেতন পান আর্জেন্টাইন মহাতারকা। হ্যামিলটনের তুলনায় যা ৪৯ কোটি টাকা বেশি। তবে সারা বছর মাঠ চষে বেড়ানোর চেয়ে গাড়িতে বসে গতির ঝড় তুলে কামাই করাটা নেহাত মন্দ নয় কিন্তু!