গার্মেন্টস শ্রমিকদের মুক্তি ও তাদের বিরুদ্ধে করা মামলা প্রত্যাহারের দাবিতে প্রতিবাদ সমাবেশ করেছেন সচেতন নাগরিকবৃন্দ। একইসঙ্গে শ্রমিকদের মজুরী ১০ হাজার টাকা ও মোট মজুরী ১৬ হাজার টাকা করার দাবি জানান তারা।
বৃহস্পতিবার বিকেলে শাহবাগ জাতীয় যাদুঘরের সামনে ‘শ্রমিক নিপীড়নের বিরুদ্ধে জনতা’র ব্যানারে এ প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। সমাবেশ থেকে গ্রেপ্তার হওয়া শ্রমিকদের মুক্তি দাবি করা হয়।
প্রতিবাদ সমাবেশে সিপিবির উপদেষ্টা ও সাবেক সভাপতি কমরেড মনজুরুল আহসান বলেন: শ্রমিক নেতা সাত জনের এখন পর্যন্ত জামিন হয়নি৷ আমরা শুধু তাদের জামিনে ক্ষ্যান্ত নই৷ তাদের বিরুদ্ধে যে মামলা করা হয়েছে তা অবিলম্বে প্রত্যাহার করে নিতে হবে৷
‘‘আজকে শ্রমিকরা তাদের ন্যায্য দাবি জানিয়ে আন্দোলন করলে তাদেরকে গ্রেপ্তার করে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে৷ এটা সম্পূর্ণ বেআইনী৷ শ্রমিকদের দাবি মজুরি দশ হাজার টাকা এবং মোট মজুরি ১৬ হাজার টাকা৷ এ দাবি মানার ক্ষেত্রে গার্মেন্টস মালিকরা নানান অজুহাত দেখাচ্ছে৷ শ্রমিকরা একা নয়,তাদের সাথে আমরাও আছি৷ অন্যান্য দেশের শ্রমিকরা আন্দোলন করে মজুরি বৃদ্ধির জন্য, কিন্তু আমাদের দেশে শ্রমিকরা আন্দোলন করে বকেয়া আদায়ের জন্য। গার্মেন্টস শ্রমিকদের ন্যায্য দাবিকে প্রতিরোধ করার শক্তি কারো নেই৷ তাদের সাথে আমরা আছি এবং থাকবো।’’
তেল-গ্যাস-খনিজ সম্পদ-বিদ্যুৎ-বন্দর রক্ষা জাতীয় কমিটির সদস্য সচিব আনু মুহাম্মদ বলেন: শ্রমিকদের গ্রেপ্তার করার কারণ আমরা সবাই জানি৷ মিথ্যা অভিযোগে শ্রমিকদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে৷ এসব মামলার কারণে শ্রমিকদের হয়রানির শিকার হতে হচ্ছে৷ বর্তমানে দেশে উন্নয়নের মহাসড়কের গল্প চলছে৷ সরকার উন্নয়নের গল্পের বিজ্ঞাপন প্রচার করছে৷ মানুষ উন্নয়নের গল্প শুনতে চায় না৷ প্রবাসী শ্রমিক ও গার্মেন্টস শ্রমিকদের অবদানে দেশ আজ এ পর্যন্ত এসেছে৷ এ শ্রমিকরা যখনই তাদের মজুরি বৃদ্ধির দাবি তোলে তখনই তাদের মিথ্যা অভিযোগে গ্রেপ্তার করা হয়৷ শ্রমিকদের বলছি, আপনারা থেমে যাবেন না৷ আমরা আপনাদের সাথে আছি৷
প্রতিবাদ সমাবেশে গণজাগরণ মঞ্চের সংগঠক লাকী আক্তারের সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যাকাউন্টিং এন্ড ইনফরমেশন সিস্টেম বিভাগের শিক্ষক মোসাইদা সুলতানা, বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক লিটন নন্দী, প্রকাশক রবিন আহসান, লেখক-সম্পাদক রাখাল রাহা, বাংলাদেশ যুব ইউনিয়নের সভাপতি হাসান হাফিজুর রহমান সোহেল, কমরেড খালিকুজ্জামান, অ্যাডভোকেট হাসনাত কাইয়্যুম প্রমুখ।