গার্মেন্টস কারখানার ভবন ও অগ্নি নিরাপত্তা এবং কর্মপরিবেশ উন্নয়নে বাংলাদেশের অগ্রগতির প্রশংসা করেছে রানা প্লাজা ধসের পর আইএলও’র নেতৃত্বে গঠিত আন্তর্জাতিক কমপ্যাক্ট। কারখানাগুলোকে আগের চেয়ে এখন অনেক নিরাপদ বললেও ট্রেড ইউনিয়ন করার সুযোগ বাড়ানোর দাবি তাদের। তবে, সরকার বলেছে, বিশেষায়িত রপ্তানি অঞ্চলে ট্রেড ইউনিয়নের বিকল্প রয়েছে।
রানা প্লাজা ধসের পর বাংলাদেশের গার্মেন্টস সেক্টর শ্রম বান্ধব করতে কাজ করছে আন্তর্জাতিক কমপ্যাক্ট। দ্বিতীয় পর্যালোচনা বৈঠকে দিনভর বিভিন্ন সেশনের আলোচনায় শিল্প মালিক, বিদেশী ক্রেতা ও কূটনীতিক এবং শ্রমিক নেতারা অংশ নেন।
শিল্প মালিকরাও দাম বাড়ানোর দাবি জানান। কারখানা সংস্কারের দায় শুধু শিল্প মালিকদের উপর না দিয়ে সব পক্ষের সমান অংশগ্রহনের দাবি জানান তারা।
আইএলও প্রতিনিধি বলেন, তিন বছরে বাংলাদেশের অগ্রগতি প্রশংসা করার মতো। কমপ্যাক্টের প্রধান দুই অংশীদার ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন ও যুক্তরাষ্ট্র একমত হলেও এখনো অনেক কাজ বাকী আছে বলে জানান তিনি।
সমাপনীতে বাণিজ্যমন্ত্রী দাবি করেন, ফ্যাক্টরিতে ট্রেড ইউনিয়ন করার অধিকার এখন রয়েছে। অভিযোগ জানানো ও প্রয়োজনে ধর্মঘট করার সুযোগ আছে ইপিজেডেও।
পর্যালোচনা সভায় নতুন দেশ হিসেবে কমপ্যাক্টের সাথে কাজ করার ঘোষণা দেয় কানাডা।