সাক্ষাৎকারে একবার বলেছিলেন সুযোগ পেলে স্পেন জাতীয় ফুটবল দলের কোচ হতে চান! যদি কাতালান নামের একটি দেশের জন্মও হয়, পেপ গার্দিওলা কোচ হিসেবে স্পেনকেই বেছে নিতে চান তখনও। সেই গার্দিওলাই স্পেনবাসীর চক্ষুশূল হয়েছেন কাতালোনিয়ার স্বাধীনতার জন্য গণভোটের দাবি জানিয়ে। দেশটির জনগণের এমন মনোভাবে ভীষণ ব্যথিত বার্সেলোনার সর্বজয়ী কোচ। জানালেন, কাতালান হলেও স্পেন দেশটাকে তিনি বিশেষ দৃষ্টিতে দেখেন।
‘জনগণ মনে করে আমরা স্পেনকে পছন্দ করি না! কী দারুণ একটি দেশ, অসাধারণ ঐতিহ্য, সংস্কৃতি, খেলাধুলা, দারুণ কিছু শহর।’ করুণ কণ্ঠেই স্পেনের প্রশংসা করেছেন মেসি-ইনিয়েস্তাদের সাবেক কোচ।
প্রশংসার পাশাপাশি স্পেন সরকারের কড়া সমালোচনাও করতে ছাড়েননি কাতালাদের স্বাধীনতার পক্ষে নিজের মনোভাব জানিয়ে চলা গার্দিওলা। তার দাবি সরকার প্রকৃত সত্য লুকানোর চেষ্টা করলেও তা ফাঁস হয়ে গেছে, ‘স্পেন সরকার সত্য লুকানোর চেষ্টা করেছিল। কিন্তু গণমাধ্যম দেখিয়ে দিয়েছে কাতালুনিয়ায় কী হচ্ছে।’
স্বাধীনতার জন্য গণভোটের দাবিতে কাতালুনিয়ার জনগণের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষে এখন পর্যন্ত ৮০০জনের বেশি মানুষ আহত হয়েছে। কিন্তু মাদ্রিদ ভিত্তিক সংবাদ মাধ্যমগুলোতে ফলাও করে প্রকাশ করা হচ্ছে পুলিশের আহত হবার খবর।
সেটিরও প্রতিবাদ করেছেন গার্দিওলা, ‘আমি এল পাইস পড়ে জানলাম তারা ফলাও করে বলছে পুলিশ আহত হয়েছে। কাদের হাতে? ভোটারদের হাতে? অথচ পুলিশ যে একজন মহিলার হাতের আঙ্গুল ভেঙে দিয়েছে, শত শত মানুষের মাথা ফাটিয়েছে, রাবার বুলেট ছুঁড়েছে, তার কোনও খবর নেই। তাদের কী জানা নেই কাতালোনিয়ায় রাবার বুলেট ছোঁড়া নিষেধ! প্রধানমন্ত্রীকে সব প্রশ্নের জবাব দিতে হবে। তিনি যদি সকল স্পেনবাসীর নেতা হতে চান তবে তাকে জবাব দিতেই হবে।’
গার্দিওলার চেয়ে আরও কড়া সমালোচনা করেছেন তারই সাবেক বার্সা-শিষ্য জেরার্ড পিকে। কাতালোনিয়ার স্বাধীনতার প্রশ্নে স্পেন জাতীয় দলের হয়ে খেলা ছাড়ার জন্যও প্রস্তুত বলে জানিয়েছেন দেশটির বিশ্বকাপ এবং ইউরোজয়ী দলের অন্যতম সদস্য, ‘ফেডারেশন যদি মনে করে আমি ঝামেলা পাকাচ্ছি, তাহলে আমি স্পেন দল থেকে সরে দাঁড়াব। প্রয়োজনে সেটা ২০১৮ বিশ্বকাপের আগেই।’