চলন্ত মাইক্রোবাসে ধর্ষণের শিকার গারো তরুণীর চিকিৎসা ও ক্ষতিপূরণ বিষয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট। আইনি প্রক্রিয়ায় বিলম্বের কারণে দায়ী পুলিশ সদস্যদের বিরুদ্ধে কেনো ব্যবস্থা নেয়া হবে না তাও জানতে চেয়েছেন আদালত।
এছাড়া যৌন সহিংসতা বন্ধে বিদ্যমান আইন ও প্রক্রিয়া পুনর্বিবেচনা করার জন্য বিশিষ্টজনদের নিয়ে কমিটি করতে আবেদনকারীদের কাছে ৩১ মে’র মধ্যে নামের তালিকাও চেয়েছেন হাইকোর্ট বেঞ্চ।
ধর্ষণের শিকার গারো তরুণীটি রাজধানীর যমুনা ফিউচার পার্কে একটি দোকানে কাজ করতেন। ২১ মে রাতে কাজ সেরে বাড়ি ফেরার পথে একদল যুবক তরুণীটিকে মাইক্রোবাসে তুলে নিয়ে গাড়িতে পালাক্রমে ধর্ষণ করে। এই ঘটনায় রিট করে পাঁচটি মানবাধিকার সংগঠন।
আবেদনে তারা আদালতকে বলেন, ওই তরুণীকে ধর্ষণের ঘটনায় কাউকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি পুলিশ। বরাবরের মতো পুলিশ বলেছে, আসামি ধরার চেষ্টা অব্যাহত আছে। প্রাথমিক শুনানি শেষে বিচারপতি ফারাহ মাহবুব ও বিচারপতি কাজী মোহাম্মদ ইজারুল হক আকন্দের হাইকোর্ট বেঞ্চ রুল দেন।
রিটের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী জেড আই খান পান্না।
আবেদনকারীর পক্ষের আইনজীবী পত্রিকায় প্রকাশিত ধর্ষণের ঘটনার খবর তুলে ধরে বলেন, গত এক বছরে সারা দেশে ধর্ষণের শিকার হয়েছেন ৬২৬ জন। এর মধ্যে ২০৮ জন গণধর্ষিত হয়েছেন। নির্যাতিতদের মধ্যে ৬৪ জনের মৃত্যু হয়েছে, আত্মহত্যা করেছেন ১৩ জন। এসব ঘটনায় তদন্ত এবং বিচার হচ্ছে না বলে অভিযোগ করেন তারা।
দুই সপ্তাহের মধ্যে স্বরাষ্ট্র সচিব, পুলিশের মহাপরিদর্শক, ঢাকা মহানগর পুলিশের কমিশনার, উত্তরা, খিলক্ষেত, গুলশান ও ভাটারা থানার ওসিকে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে। অন্তর্বর্তীকালীন আদেশে বাংলাদেশের সব থানায় ধর্ম, বর্ণ, গোত্র, লিঙ্গ ও জন্ম পরিচয় নির্বিশেষে বৈষ্যমহীনভাবে সবার সেবা নিশ্চিতে একটি সার্কুলারও জারি করতে বলা হয়েছে স্বরাষ্ট্র সচিব, আইজিপি ও পুলিশ কমিশনারকে।