প্রায় পাঁচ দশক ধরে বিস্তৃত ছিল বাপ্পী লাহিড়ীর সংগীতজীবন। নিজের গান দিয়ে নাচিয়ে ছেড়ে ছিলেন ছোটবড় সকলকেই। সঙ্গে পেয়েছেন ‘ডিস্কো কিং’র তকমাও।
তবে শুধু সংগীতশিল্পী কিংবা সুরকার হিসেবে নয়, বাপ্পী লাহিড়ীর স্টাইলও নজর কেড়েছিল সবার। সোনার গয়নার প্রতি তার যে আলাদা ভালোবাসা ছিল তা কারোই অজানা ছিল না। তার পরনে থাকা নানা রকম সোনার গয়না থেকেই তিনি ‘গোল্ড লাভার’ হিসেবে পরিচিতি পান।
জানা যায়, প্রত্যেক দিনই নতুন নতুন রকমের গয়না পরতেন তিনি। তার গলায় শোভা পেত ৮টি সোনার চেইন! যা তিনি রোজ বদলে নিতেন। কিন্তু কেন তার স্বর্ণালংকারের প্রতি ভালোবাসা ছিল, জানেন কি?
সে প্রসঙ্গে একবার এক সাক্ষাৎকারে বাপ্পী লাহিড়ী জানান যে, আমেরিকান রকস্টার এলভিস প্রেসলির থেকেই তিনি উৎসাহ পেয়েছিলেন এই ব্যাপারে।
এ প্রসঙ্গে তিনি ওই সাক্ষাৎকারে আরও বলেছিলেন, “বিখ্যাত গায়ক এলভিস প্রেসলি গলায় সোনার হার পরতেন। আর আমি ছিলাম প্রেসলির বড় ভক্ত। আমি ভাবতাম আমি যদি কখনও সাফল্য পাই, তাহলে আমি নিজের ইমেজ আলাদাভাবে তৈরি করব। ঈশ্বরের আশীর্বাদে আমি সোনা দিয়ে তা করতে পেরেছি। অনেক লোকই ভাবেন আমি দেখানোর জন্য সোনার গহনা পরি, কিন্তু তা সত্যি নয়।”
সত্যিই, শুধু ফ্যাশনের জন্য নয় বাপ্পী লাহিড়ীর কাছে স্বর্ণ ছিল লাকি। যখনই কোনও গান বা অ্যালবাম হিট করত, তখনই সোনার গয়না কিনতেন তিনি। আর এভাবেই তার সংগ্রহে একে একে জমা হল নতুন নতুন সোনার গয়না।
প্রথম দিকে সোনার গহনা পরতেই দেখা যেত বাপ্পীকে। তবে পরবর্তীতে নিজের গয়নার জন্য লুমিনেক্স ইউনো নামের একটি ধাতু ব্যবহার করতেন। যা খুব মূল্যবান বিকল্প হিসেবে ধরা হত সোনার গহনা প্রস্তুতকারী ও বিনিয়োগকারীদের জন্য।