আবৃত্তির দল কণ্ঠশীলন প্রতিষ্ঠায় ভূমিকা রেখেছিলেন সংস্কৃতিজন ওয়াহিদুল হক। দলটির নবজন্মে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা ছিল শিল্পী কাইয়ুম চৌধুরীর। তাদের দুজনের জন্মদিন এই মার্চ মাসেই। তাঁদের স্মরণে গতকাল শনিবার সন্ধ্যায় ধানমন্ডির ছায়ানট সংস্কৃতি-ভবন মিলনায়তনে ছিল কণ্ঠশীলনের আয়োজন ‘বন্ধু রহো রহো সাথে’।
এই অনুষ্ঠানে কণ্ঠশীলনের সভাপতি সন্জীদা খাতুন বলেন, ‘ওয়াহিদুল সাংসারিক বুদ্ধির মানুষ ছিলেন না। তাঁর কল্পনা ছিল বিশাল। অনেক বড় কাজের স্বপ্ন দেখেছিলেন তিনি। আমার সার্থকতা, তাঁর স্বপ্নগুলোকে বহন করে মানুষের কাছে নিতে পেরেছি। আর কাইয়ুম মুদ্রণশিল্পে যে অবদান রেখেছেন, তা অবিস্মরণীয়।’
সংস্কৃতিজন সৈয়দ হাসান ইমাম বলেন, ‘ওয়াহিদুল নিজের কথা কখনোই ভাবতেন না। জীবনের নানা দিকে ব্যপ্ত ছিলেন—ফুটবল খেলেছেন, কুস্তি লড়েছেন। আইয়ুব খানের বিরুদ্ধে নির্বাচনও করেছেন। সাংগঠনিক ক্ষমতা ছিল অসাধারণ। সাধারণ কৃষক থেকে সংগীতশিল্পী—সবাইকে এক করতে পারতেন।’
চিত্রশিল্পী সমরজিৎ রায় চৌধুরী বলেন, ‘কাইয়ুম ছিলেন একাধারে তাঁর শিক্ষক ও সহকর্মী। মার্জিত ও বড় মাপের মানুষ।’
অনুষ্ঠান শুরু হয় লাইসা আহমদ লিসার কণ্ঠে রবীন্দ্রনাথের ‘চিরসখা হে’ গানটি দিয়ে। আবদুল ওয়াদুদ গেয়ে শোনান ‘মোর সন্ধ্যায় তুমি’ ও ‘লহো লহো তুলে লহো’। ছিল ‘ইচ্ছেতলা’র শিশুশিল্পীদের পরিবেশনা। কণ্ঠশীলনের প্রযোজনায় যতীন্দ্রমোহন বাগচীর কবিতা আবৃত্তি করেন শামীমা নাজনীন। ফারহানা নিশাত আবৃত্তি করেন ইমতিয়াজ মাহমুদের তিনটি কবিতা, ‘সক্রেটিসের জবানবন্দি’র অংশ-বিশেষ আবৃত্তি করেন প্রদীপ কুমার আগরওয়ালা। সবশেষে ছিল শ্রুতিনাটক ‘রথের রশি’।
ছবি : সংগৃহীত