গাজীপুর সিটি কর্পোরেশন নির্বাচন স্থগিত করে হাইকোর্টের দেয়া আদেশের বিরুদ্ধে দুই মেয়র প্রার্থীর করা আবেদনের শুনানি বৃহস্পতিবার।
প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের নেতৃত্বাধীন চার বিচারপতির আপিল বেঞ্চে বিষয়টি শুনানির জন্য উঠলে নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে সময় আবেদন করলে আদালত ‘নট টুডে’র আদেশ দেন।
আদালতে রিটকারীর পক্ষে ছিলেন ব্যারিস্টার রোকন উদ্দিন মাহমুদ, বিএনপির মেয়র প্রার্থীর পক্ষে ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ, অ্যাডভোকেট জয়নুল আবেদীন, ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন। আর আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থীর পক্ষে ছিলেন এস এম শফিকুল ইসলাম বাবু। নির্বাচন কমিশনের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী ওবায়দুর রহমান।
এর আগে মঙ্গলবার সুপ্রিম কোর্টের চেম্বার বিচারপতির আদালতে এই দুই আবেদন শুনানির জন্য উপস্থাপন করা হলে আদালত বিষয়টি বুধবার প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বাধীন আপিল বেঞ্চে শুনানির জন্য পাঠান।
গত ৫ মে এক রিট আবেদনের প্রেক্ষিতে গাজীপুর সিটি কর্পোরেশন নির্বাচন তিন মাসের জন্য স্থগিত করেন বিচারপতি নাঈমা হায়দার এবং বিচারপতি জাফর আহমেদের হাইকোর্ট বেঞ্চ। সেই সঙ্গে রুল জারি করেন আদালত।
শিমুলিয়া ইউনিয়ন পরিষদের ছয়টি মৌজা গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনের অন্তর্ভুক্তির গেজেট এবং সম্প্রতি গাজীপুর সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনের প্রজ্ঞাপন ও তফসিল কেন আইনগত কর্তৃত্ব বহির্ভূত ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চাওয়া হয় একটি রুলে।
স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় সচিব, ঢাকার বিভাগীয় কমিশনার, স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের উপসচিব (সিটি কর্পোরেশন-২), ঢাকা জেলা প্রশাসক, গাজীপুর সিটি করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা, প্রধান নির্বাচন কমিশনারসহ নয়জনকে এই রুলের জবাব দিতে বলা হয়।
গত ৫ মে শিমুলিয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ও আওয়ামী লীগের নেতা এ বি এম আজহারুল ইসলাম সুরুজ গাজীপুর সিটি করপোরেশনে সাভারের শিমুলিয়া ইউনিয়নের ছয়টি মৌজা অন্তর্ভুক্তির বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে রিট করেন। সে রিটের শুনানি নিয়ে নির্বাচন স্থগিত করেন হাইকোর্ট।
এরপর সিটি কর্পোরেশনের নির্বাচন স্থগিত আদেশের বিরুদ্ধে দুই মেয়র প্রার্থী আপিল বিভাগের সংশ্লিষ্ট শাখায় আবেদন করেন।
গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনের মেয়র, সাধারণ ও সংরক্ষিত কাউন্সিলর পদে নির্বাচন আগামী ১৫ মে অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল।