গাজীপুর সিটি নির্বাচনে ভোটগ্রহণ শেষ হয়েছে। সকাল আটটা থেকে শুরু হয়ে ভোটগ্রহণ চলে বিকাল চারটা পর্যন্ত। তবে নির্ধারিত সময়ের মধ্যে যারা ভোটকেন্দ্রের লাইনে দাঁড়িয়েছেন নিয়ম অনুাযায়ী চারটার পরও তাদের ভোট নেওয়া হবে। এরপর শুরু হবে ভোটগণনা।
ভোট নিয়ে আওয়ামী লীগ ও বিএনপির পাল্টাপাল্টি অভিযোগ থাকলেও কোনো রকম সহিংসতা ছাড়াই শেষ হয় নির্বাচন। তবে অনিয়মের কারণে ৭টি কেন্দ্রের ভোটগ্রহণ স্থগিত করা হয়।
আয়তনের দিক থেকে সবচেয়ে বড় এই সিটিতে এবারই প্রথম দলীয় প্রতীকে ভোট দিয়েছেন গাজীপুর নগরবাসী। ৫৭টি ওয়ার্ডে মোট ভোটার সংখ্যা ১১ লাখ ৩৭ হাজার ৭৩৭জন। এর মধ্যে ৫ লাখ ৭৯ হাজার ৯৩৫ জন পুরুষ এবং ৫ লাখ ৬৭ হাজার ৮০১ জন মহিলা ভোটার।
৫৭টি ওয়ার্ড কাউন্সিলরের মধ্যে একজন ওয়ার্ড কাউন্সিলর এরই মধ্যে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন। বাকি ৫৬টি ওয়ার্ড কাউন্সিলর পদে ২৫৪জন ও সংরক্ষিত ১৯ মহিলা ওয়ার্ড কাউন্সিলর পদে ৮৪জন এবং মেয়র পদের জন্য ৭ জন প্রার্থী এ নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেন।
সর্বমোট ৩৪৫জন প্রার্থী গাজীপুর সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন।
নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠু করতে মোতায়েন করা হয় প্রায় ১২ হাজার র্যাব, পুলিশ ও আনসার সদস্য। ৫৭টি ওয়ার্ডে ৫৭টি এবং অতিরিক্ত একটিসহ র্যাবের মোট ৫৮টি টিম কাজ করছে।
এছাড়াও পুলিশ এপিবিএন ও ব্যাটালিয়ান আনসার সমন্বয়ে ৫৭টি ওয়ার্ডে ৫৮টি মোবাইল ফোর্স, ২০টি স্ট্রাইকিং ফোর্স নিয়োজিত আছে।
এর বাইরে মোতায়েন করা হয় ২৯ প্লাটুন বিজিবি। প্রতি দুইটি ওয়ার্ডে এক প্লাটুন করে মোট ২৯ প্লাটুন বিজিবি দায়িত্ব পালন করছে। এদের মধ্যে ১২ প্লাটুন জয়দেবপুর, বাসন চান্দনা চৌরাস্তা ও কাউলতিয়া এলাকায় দায়িত্ব পালন করছে। এছাড়া ৭ প্লাটুন কোনাবাড়ি ও কাশিমপুর এলাকায়, ১০ প্লাটুন আছে টঙ্গী এলাকায়।
নির্বাচনের আগে ও পরে চার দিন ৫৭টি ওয়ার্ডে একজন করে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োজিত আছেন। আরো ১০ জন অতিরিক্ত হিসেবে সর্বমোট ৬৭ জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মাঠে আছেন। সিটি কর্পোরেশনের প্রতি তিনটি ওয়ার্ডের জন্য একজন করে মোট ১৯ জন জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োজিত আছেন।