গাজীপুরের কালীগঞ্জে পরকীয়া সম্পর্ক রয়েছে এমন সন্দেহে সোহেল ভূঁইয়া নামে এক যুবককে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে প্রতিবেশীদের বিরুদ্ধে।
নিহত সোহেল ভূঁইয়া বাহাদুরসাদী ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ডের সাবেক সদস্য ও বাজার কমিটির সাবেক সাধারণ সম্পাদক দক্ষিণবাগ এলাকার মৃত ছালাম ভূঁইয়ার ছেলে।
শনিবার সকালে কালীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। অভিযুক্তরা হলো একই এলাকার মৃত মঞ্জুর ভূঁইয়ার ছেলে জুবায়েল ভূঁইয়া ও মেয়ে জেমি ভূঁইয়া, আব্দুল মজিদের ছেলে শুকুর আলী, জামালপুর এলাকার ফিরোজ শেখের ছেলে মামুন শেখ।
নিহতের ভাই সোহাগ মিয়া ও স্থানীয়রা জানান, শুক্রবার রাত ৯টার দিকে দক্ষিণবাগ এলাকার মোতালেবের বাড়িতে অবস্থান করছিল সোহেল ভূঁইয়া। সেসময় অভিযুক্তরা সোহেলকে ধরে মঞ্জুরের (তাদের) বাড়ি নিয়ে যায়। সোহেল বিরুদ্ধে তাদের অভিযোগ সে জেরিনের সঙ্গে পরকীয়া সম্পর্কে লিপ্ত। তাই অভিযুক্তরা সোহেলকে গাছের সঙ্গে বেঁধে মুখে গামছা পেঁচিয়ে মারধর করে ও পিটিয়ে হাত পা-ভেঙ্গে ফেলে। পরে স্থানীয়দের মাধ্যমে খবর পেয়ে রাত ১টার দিকে কালীগঞ্জ থানার সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) আজাদ পারভেজসহ পুলিশ সদস্যরা উপস্থিত হয়ে সোহেলকে উদ্ধার করে। এরপর অভিযুক্তরা সোহলেকে কালীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে ভর্তি করে। চিকিৎসাধীন অবস্থায় সকাল আটটার দিকে তার মৃত্যু হয়।
সোহাগ মিয়া বলেন, দীর্ঘদিন সোহেল আর জেরিনের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক ছিল। পরে জেরিনকে জামালপুরে বিয়ে দিয়ে দেয় তার পরিবার। এরপর থেকে সোহেল মানসিকভাবে বিপর্যস্ত হয়ে পড়ে। তাই মাঝেমধ্যে তাদের বাড়ির পাশে গিয়ে বসে থাকতো। শুক্রবার রাতেও গিয়েছিল। সেসময় তাকে ধরে নিয়ে পিটিয়ে হত্যা করে অভিযুক্তরা।
কালীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কর্তব্যরত চিকিৎসক সৈয়দ আবিদুল আরেফির রেজবী বলেন, রাত আড়াইটার দিকে সোহেল ভূঁইয়াকে গুরুতর আহত অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সে সময় তার হা-পা ভাঙ্গা ছিলো। তাকে হাসাপাতালে নিয়ে আসেন জুবায়েল। সকাল ৮টার চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।
কালীগঞ্জ থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মিন্টু মিয়া বলেন, সকাল সাড়ে আটটার দিকে হাসপাতাল থেকে সোহেল ভূঁইয়ার লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। তার হাত-পা বাঁধা অবস্থায় পাওয়া গেছে। এ বিষয়ে আইনানুক ব্যবস্থা গ্রহণের প্রস্তুতি চলছে।