টেক্সাস এ এন্ডএম ইউনিভার্সিটির করা এক গবেষণা অনুসারে, গর্ভাবস্থায় দূষণের সংস্পর্শে আসার ফলে শিশুদের মধ্যে অনেক বিরূপ প্রভাব ফেলতে পারে যা একটি শিশুর প্রাপ্তবয়স্ক পর্যন্ত প্রসারিত হতে পারে।
গবেষণা অনুসারে,গর্ভাবস্থায় বায়ু দূষণের সংস্পর্শে আসার ফলে শিশুর ওজন কম হতে পারে,অথবা নির্ধারিত সময়ের পূবেই শিশুর জন্ম হতে পারে। এবং শিশুটি যখন প্রাপ্ত বয়স্ক হবে তখন তার হাঁপানিতে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকিও থাকতে পারে। এ ধরনের সমস্যার বেশির ভাগই হয়ে থাকে ভ্রুণের বৃদ্ধি এবং বিকাশের দ্রুত গতির কারণে।
গবেষকরা সুক্ষ্ম কণার দূষণ এবং শ্বাসযন্ত্রের রোগের সম্ভাবনার মধ্যে সম্পর্ক খুঁজে পেয়েছেন। এ ধরণের দূষণ শ্বাসনালিতে আরও গভীরে কাজ করতে পারে এবং স্বাস্থ্য ঝুঁকি আরও বাড়িয়ে তোলে।
‘এনআরএফ২’ জিনটি মূলত প্রাপ্তবয়স্কদের মধ্যে ইমিউন ফাংশন এবং স্ট্রেস প্রতিক্রিয়াকে প্রভাবিত করে। তবে শিশুদের মধ্যে এ জিনের প্রভাব কেমন তা নিয়ে কম গবেষণা হয়েছে।
ভ্রূণের বিকাশের সময় ‘এনআরএফ২’ এর ভূমিকা আরও ভালো ভাবে বুঝার জন্য এবং কিভাবে সূক্ষ্ম কণার দূষণ গুলো স্বাস্থ্যকে প্রভাবিত করে তা স্পষ্ট করার জন্য চারটি গর্ভবতী পশুকে নমুনা হিসেবে নিয়েছেন এবং তাদের ওজন পর্যবেক্ষণ করেছেন এবং ওইসব পশুদের সন্তানের ওজন রেকর্ড করেছেন।
গর্ভাবস্থায় চারটি পশুর ওজন বৃদ্ধিতে কোনও পার্থক্য না থাকলেও ‘এনআরএফ২’ জিনের স্বল্পতার জন্য সন্তানদের ওজন তুলনামূলক কম ছিল।এবং গবেষণায় দেখা গেছে, যে পশুর ‘এনআরএফ২’ জিনের স্বল্পতা ছিল সে পশুটি সবচেয়ে বেশি দূষণের সম্মুখীন হয়েছিল।
‘এনআরএফ২’ জিনের অভাব এবং কিছু দীর্ঘস্থায়ী রোগের মধ্যে সম্পর্ক খুঁজে পেয়েছেন গবেষকরা। উদাহরণস্বরূপ, গবেষণায় দেখা গেছে ‘এনআরএফ ২’ এর ঘাটতির ফলে ‘অটোইমিউন’ রোগ হওয়ার সম্ভাবনা বেশি ছিল পশুগুলোর। এছাড়া জরায়ু যখন বায়ু দূষণের সংস্পর্শে আসে তখন শিশুর ওজনের ওপর এর প্রভাব নির্দেশ করে।