ঈদুল আযহা আসন্ন। ঈদুল আযহাকে অনেকে ‘কোরবানি ঈদ’ নামেই ডাকেন! কেননা এই ঈদে আল্লাহ তায়ালার সন্তুষ্টি আদায়ে প্রত্যেক সামর্থবান মুসলিমের উপর পশু কোরবানি ওয়াজিব। আর তাই ঈদুল আযহা মানে জমজমাট কোরবানির হাট।
হাটে গিয়ে কোরবানির পশু কেনার মজাই আলাদা। কিন্তু তা কিনতে গেলেও আপনাকে যেনতেনভাবে হাটে গেলে চলবে না। সচেতনভাবে যেতে হবে এবং সেই সাথে সতর্ক থাকতে হবে কিছু বিষয়ে। বিষয়গুলো হলো:
-
- হাটে যাবার সময় একা নয় বরং কাউকে সাথে নিন। যেকোন দূর্ঘটনা বা ঝামেলায় পড়লে সে আপনাকে সাহায্য করতে পারবে।
- হাটে যাবার সময় দেখে নিন টাকা-পয়সা ঠিকঠাকমতো নিয়েছেন কিনা। কারণ, টাকা ফেলে গেলে আবার বাড়তি ঝামেলা আপনাকে পোহাতে হবে।
- মোবাইল ব্যাংকিং এ-ও সচেতন থাকুন। তাড়াহুড়া করে অন্যকোনো অ্যাকাউন্টে যেন টাকা না যায় খেয়াল করে ব্যালেন্স ট্রান্সফার করুন।
- নগদ টাকা নিলে তা একজনের কাছে নয় বরং সাথে যে বা যারা থাকবে তাদের মধ্যে ভাগাভাগি করে নিন।
- টাকার ব্যাগ, মোবাইল ব্যাগ সাবধানে রাখুন।
- পানি, স্যালাইন সাথে নিন। ছাতা নিতেও ভুলবেন না। কারণ রোদ-বৃষ্টি সবকিছুতেই এটা আপনাকে সুরক্ষা দিবে।
- কোরবানির হাটে টাকা-পয়সা লেনদেনে সতর্ক থাকবেন। জাল টাকা, ছেঁড়া টাকা নিচ্ছেন কিনা দেখে নিন ভালো করে।
- দালাল চক্রের ব্যাপারে সতর্ক থাকুন। তাদের খপ্পরে যেন না পড়েন সে ব্যাপারে সাবধান থাকুন।
- হাটে যাবার সময় প্লাস্টিকের জুতা পড়ে যান। তাহলে পায়ে গোবর বা ময়লা লাগবে না।
- হাটে গিয়ে কোরবানির পশুর থেকে নিরাপদ দুরত্বে থাকুন। আর কোনো পশু যদি ছুটে যায় তবে ভয়ে দৌড়াবেন না। বরং আশেপাশের লোকদের সহায়তা নিন।
- হাটে যাবার সময় মোটা বা ভারী কাপড় নয় বরং হালকা পোশাক পড়ে যান। যাতে গরম কম লাগে।
নতুন পোশাক নয় বরং যে পোশাকটি নষ্ট হলেও কোনো ক্ষতি নেই এমন কোনো পোশাক নির্বাচন করুন। - আবহাওয়া বুঝে হাটে যান। রোদ থেকে সামান্য রক্ষা পেতে সকাল সকাল হাটে যান।
- হাটে যাবার সময় বাসা থেকে ভালো ভাবে খেয়ে সুস্থ শরীরে বের হন। শারীরিক কোনো অসুস্থতা যেমন: প্রেসার, হার্টের সমস্যা, ডায়াবেটিস থাকলে প্রয়োজনীয় ঔষধ খেয়ে এবং সাথে নিয়ে বের হবেন।
- হাট থেকে ফিরে হাত-পা ভালো করে স্যাভলন বা ডেটল মেশানো পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।
সর্বোপরি সতর্ক থাকুন, নিরাপদে থাকুন এবং ঈদকে আরও আনন্দময় করে তুলুন।
ছবি: সংগৃহিত