শুক্রবার বজ্রপাতে টাঙ্গাইলে ও জয়পুরহাটে চারজন নিহত হয়েছে। টাঙ্গাইলের ভূঞাপুরে এবং জয়পুরহাটের ক্ষেতলালে এ প্রাণহানির ঘটনা ঘটে। এই নিয়ে গত দুই দিনে সারাদেশে বজ্রপাতে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৩৯ জনে দাঁড়ালো।
টাঙ্গাইলের ভূঞাপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের অাবাসিক চিকিৎসক ডা জাহিদুজ্জামান জুয়েল বলেন, ভূঞাপুর উপজেলার খড়ক গ্রামের অাব্দুস ছালামের ছেলে অানিসুর রহমান ১৪ জমি থেকে ধানের বুঝা অানার সময় বজ্রপাতের শিকার হয়। একই ঘটনায় পৌর এলাকার পলিশা গ্রামের মোকলেছুর রহমানের মেয়ে লিমা ১৪ বাড়ির উঠান থেকে ধান নেয়ার সময় বজ্রপাতের শিকার হয়। অানিসুর ও লিমাকে হাসপাতালে অানার অাগেই তাদের মৃত্যু হয়েছে বলে তিনি জানান।
জয়পুরহাট জেলার ক্ষেতলালে এক ঘন্টার ব্যবধানে পৃথক স্থানে বজ্রপাতে নিহত হয়েছে দুই ধান কাটা শ্রমিক। নিহতরা হলেন ক্ষেতলাল উপজেলার ঘুগইল গ্রামের আছাদুজ্জামানের ছেলে মানিক হোসেন (৩৫) ও কুড়িগ্রামের নাগেশ্বরী উপজেলার ইসমাইল হোসেনের ছেলে রফিকুল ইসলাম (৩৩)।
বেলা ১১টায় ক্ষেতলাল উপজেলার ঘুগইল গ্রামের মাঠে ধান কাটার সময় বজ্রপাতে মানিক হোসেন নামে এক শ্রমিক মারা যায়। এর আগে সকাল ১০টায় একইভাবে মৃত্যু হয় সদর উপজেলার তুলশীগঙ্গা নদী তীরবর্তী সতিঘাটা এলাকায় আরেক ধানকাটারত শ্রমিক আফজাল হোসেনের।
জয়পুরহাট সদর থানার অফিসার ইনচার্জ ফরিদ হোসেন ও ক্ষেতলাল থানার অফিসার ইনচার্জ মনিরুল ইসলাম এ দুর্ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
এর আগে বৃহস্পতিবার রাজধানী ঢাকাসহ সারাদেশে বজ্রপাতে অন্তত ৩৫ জন নিহত ও বেশ কয়েকজন আহত হয়। ওইদিন বজ্রপাতের ঘটনায় সিরাজগঞ্জে ৫ জন, পাবনায় ৪, কিশোরগঞ্জে ৪, নরসিংদীতে ৩, রাজশাহীতে ৩, ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ৩, ঢাকায় ২, নেত্রকোনায় ২, নাটোরে ২, গাজীপুরে ২ এবং হবিগঞ্জ, নীলফামারী, নওগাঁ, দিনাজপুর ও পিরোজপুরে একজন নিহত হয়।