জাতীয় দলে গতিময় বোলারের অভাবের দিনে আশার এক পশলা বৃষ্টি যেন হাসান মাহমুদ। বিপিএলে ১৪৪ কিলোমিটার গতিতে বল ছুঁড়ে সবার দৃষ্টি কেড়েছিলেন এ তরুণ পেসার। সেই গতিই তাকে জায়গা করে দিলো স্বপ্নের টেস্ট দলে।
পাকিস্তান সফরে টি-টুয়েন্টি সিরিজের দলে থাকলেও ম্যাচ খেলার সুযোগ হয়নি হাসানের। আন্তর্জাতিক অভিষেকের অপেক্ষায় থাকা পেসারের জন্য অপেক্ষা করছে আরও বড় মঞ্চ- টেস্ট ক্রিকেট। জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে টেস্ট স্কোয়াডে তাকে রাখা হয়েছে গতির কারণেই।
রোববার সংবাদ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে দল ঘোষণার পরপরই সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হন প্রধান নির্বাচক মিনহাজুল আবেদীন নান্নু। ব্যাখ্যা দেন কেনো টেস্ট দলে কুড়ির এই পেসার।
‘হাসানকে যখন একবছর আগে এইচপিতে (হাই-পারফরম্যান্স ইউনিট) নিয়েছিলাম, তখন থেকেই পরিকল্পনা ছিল। তরুণ বোলারদের মধ্যে সবচেয়ে জোরে বল করতে পারে ছেলেটা। টেস্ট ক্রিকেটে আমাদের জোরে বোলারের যথেষ্ট অভাব আছে। ১৪০এর কাছাকাছি বা উপরে ধারাবাহিকভাবে বল করতে পারে হাসান।’
‘যেহেতু আমরা ওর মাঝে এই ট্যালেন্ট দেখেছি, সেই কারণেই নেয়া। দুর্ভাগ্যজনকভাবে মাঝখানে চোটের কারণে সে বাইরে ছিল। চোট কাটিয়ে আবার ফিরেছে। যে কারণে আমরা তাকে প্রক্রিয়ার মধ্যে টেস্ট দলে নিয়ে এসেছি।’
১১টি প্রথম শ্রেণির ম্যাচ খেলা হাসানের উইকেট ২৭টি। পারফরম্যান্স খুব আহামরি না হলেও গতিতে সম্ভাবনার দ্যুতি ছড়িয়ে ২০ বছর বয়সেই জায়গা করে নিয়েছেন বাংলাদেশ টেস্ট দলে। হাসান নিজেকে মেলে ধরতে পারলে হয়ত অচিরেই ফুরাবে গতিময় বোলারের অভাবটা!