চ্যানেল আই অনলাইন
হৃদয়ে বাংলাদেশ প্রবাসেও বাংলাদেশ

গতরাতে ইলিশ ভাজা খেয়েছেন বার্নিকাট, আমের জন্য অপেক্ষা

ঢাকায় মার্কিন রাষ্ট্রদূত হিসেবে আছেন চারমাস। মঙ্গলবার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে প্রথমবারের মতো সরাসরি কথা বললেন মার্শিয়া ব্লুম বার্নিকাট। প্রশ্নকারীদের অনেকেই ছিলেন সাংবাদিক। চ্যানেল আই অনলাইনের প্রশ্নের উত্তরে কথা বলেছেন চলমান অভিবাসন এবং রোহিঙ্গা শরণার্থী ইস্যুতে।

কথা বলেছেন বাংলাদেশ, বাংলাদেশের মানুষ, এখানে তার ভালোলাগার নানা বিষয়সহ বাংলাদেশের গণতন্ত্র, জিএসপি, দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য এবং গুম-খুন নিয়েও। সব বিষয়েই যুক্তরাষ্ট্র সরকারের অবস্থান তুলে ধরেছেন বার্নিকাট।

মার্কিন রাষ্ট্রদূত বলেন, বাংলাদেশের মানুষ এতোটাই আন্তরিক আর প্রাণখোলা যে প্রতিদিনই তার মনে হয় তিনি যেনো তার বাড়িতেই আছেন। বাড়ি ফিরলে স্বজনরা যেমন তাকে বরণ করে নেন, বাংলাদেশের মানুষও প্রতিদিনই তাকে তেমনভাবে স্বাগত জানান। 

শুধু তাই নয়। বাংলা সব খাবারই তার দারুণ প্রিয়। বিশেষ করে এই মৌসুমে লিচু দারুণভাবে উপভোগ করছেন। আর অপেক্ষা করছেন সুস্বাদু আমের জন্য। বাংলাদেশে এসে ক্রিকেট খেলেছেন, সিসিমপুরের হালুম, টুকটুকি, এলমোর সঙ্গে সময় কাটিয়েছেন। ক্রিকেট খেলা আর সিসিমপুরের ওদের সঙ্গে কথা বলাই নাকি তার কাছে সবচাইতে আনন্দের ছিলো।

গত রাতেও ইলিশ ভাজা দিয়ে ভাত খেয়েছেন। সব মিলিয়ে দারুণ উপভোগ করছেন এদেশ।

বাংলাদেশকে নিয়ে তার ভাবনাও অনেক। প্রতিদিনই ভাবেন এই স্বল্প সময়ের মধ্যে যতোটা বেশি কাজ করা যায়। আরো বেশি কিছু করাটাই তার কাছে বড় চ্যালেঞ্জ।

সাম্প্রতিক সময়ে দক্ষিণ এশিয়ায় চলা অভিবাসী সংকট নিয়ে চ্যানেল আই অনলাইনের এক প্রশ্নের উত্তর দিয়েছেন তিনি।

রোহিঙ্গা শরণার্থী সমস্যা নিয়ে তিনি জানান, সাম্প্রতিক সময়ে রোহিঙ্গা মুসলিমদের নিয়ে যে সংকট তৈরি হয়েছে তা সমাধান করতে সব ধরণের সম্ভাব্য উপায়সমূহ যাচাই বাছাই করে দেখছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র।

তিনি বলেন, চলতি অর্থ বছরে এক হাজার রোহিঙ্গা মুসলিমকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে পুনর্বাসিত করা হয়েছে। এছাড়াও পৃথিবীর সবচাইতে নিগৃহীত এই জনগোষ্ঠীকে সকল ধরণের মানবিক সহায়তা দিতে একশ’ ৯ মিলিয়ন ডলারের সহায়তা দেয়া হয়েছে।

সাগরে এখনও সাত হাজারের মতো শরণার্থী থাইল্যান্ড, মালয়েশিয়া এবং ইন্দোনেশিয়ার দিকে সাগরে আটকা আছে উল্লেখ করে বার্নিকাট বলেন, এই তিন দেশ একযোগে কাজ করতে যে ইচ্ছা পোষণ করেছে, তাকে যুক্তরাষ্ট্র ইতিবাচক হিসেবে দেখছে। যুক্তরাষ্ট্র এই মুহূর্তে শুধু এই তিন দেশ নয়, পুরো বিশ্বকেই মানবিক বিপর্যয়ের শিকার রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠির সহযোগিতায় এগিয়ে আসতে আহ্বান জানিয়েছে বলে জানান তিনি।

মার্কিন রাষ্ট্রদূত বলেন, এই মুহূর্তে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র জাতিসংঘের শরণার্থী বিষয়ক সংস্থা ইউএনএইচসিআরের মাধ্যমে বিষয়টি সমাধানে নেতৃত্বের ভূমিকা নিতে চায় এবং রোহিঙ্গাদের যুক্তরাষ্ট্রে পুনর্বাসন করতে চায়।

তিনি বিশ্বাস করেন, আগামী ২৯ মে মার্কিন প্রতিনিধির উপস্থিতিতে এবং থাইল্যান্ডের উদ্যোগে আয়োজিত সম্মেলনে দক্ষিণ এশিয়ার অভিবাসী সমস্যার একটি স্থায়ী সমাধানের পথ বের হয়ে আসবে।