রাখাইনে রোহিঙ্গাদের ওপর জাতিগত নিধন ও গণহত্যা চালানোর অভিযোগ অস্বীকার করেছে মিয়ানমার। জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের বিতর্ক পর্বের শেষ দিনে জাতিসংঘে নিয়োজিত মিয়ানমারের দূত হাউ দো সুয়ান বলেন, ‘আমি স্পষ্ট করে বলতে চাই, ওখানে কোন জাতিগত নিধন ও গণহত্যা হচ্ছে না।’
তার দেশের ব্যাপারে ‘দায়িত্বজ্ঞানহীন মন্তব্য’ এবং ‘অগ্রহণযোগ্য অভিযোগ’ করা হচ্ছে বলে দাবি করেন তিনি। তবে তিনি নির্দিষ্ট করে কোন দেশের কথা উল্লেখ করেননি।
হাউ দো সুয়ান বলেন, যেখানে মিয়ানমার দীর্ঘদিন ধরে মুক্তি এবং মানবাধিকারের জন্য সংগ্রাম করে যাচ্ছে; সেখানে তারা কখনোই এই পথ বেঁছে নেবে না। জাতিগত নিধন এবং গণহত্যা প্রতিরোধে আমরা সবকিছুই করবো।
রাখাইন রাজ্যের ইস্যুকে তিনি ‘ব্যাপক জটিল’ বলে উল্লেখ করেন এবং জাতিসংঘের সদস্য রাষ্ট্র ও আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে নিরপেক্ষ এবং পক্ষপাতহীন মনোভাব নিয়ে দক্ষিণ রাখাইন এলাকার অবস্থা পর্যবেক্ষণের আমন্ত্রণ জানান।
আরসার সাম্প্রতিক হামলার কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করা এবং নিরীহ নাগরিকদের রক্ষা করা প্রত্যেক সরকারের দায়িত্ব।’
রোহিঙ্গাদের বাংলাদেশে পালিয়ে যাওয়ার অনেক কারণ রয়েছে বলে জানান তিনি। ২৫ আগস্ট আরসার হামলা এবং নিরাপত্তা বাহিনীর অভিযানের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘অধিকাংশ নারী এবং শিশুদের পালাতে বাধ্য করে পুুরুষদের নিরাপত্তা বাহিনীর বিরুদ্ধে লড়াই করতে বাধ্য করা হয়। সন্ত্রাসীরা বোমা পুঁতে রাখা, ব্রিজ ধ্বংস করে দেয়া সহ অগ্নিসংযোগের মতো ঘটনা ঘটায়।’