চ্যানেল আই অনলাইন
হৃদয়ে বাংলাদেশ প্রবাসেও বাংলাদেশ
Channelionline.nagad-15.03.24

গণশুনানিতে কুমিল্লা টাউন হলের জায়গায় নতুন কমপ্লেক্স ভবন নির্মাণে মত

কুমিল্লা বীরচন্দ্র গণ পাঠাগার ও মিলনায়তন (কুমিল্লা টাউন হল) ভবন আধুনিকায়নের পক্ষেই মত দিয়েছে নগরবাসী।  জরাজীর্ণ কুমিল্লা টাউন হলের স্থানে নতুন কমপ্লেক্স ভবন নির্মাণের পক্ষে তারা।

কুমিল্লা বীরচন্দ্র গণ পাঠাগার ও মিলনায়তন ভবন পুরাকীর্তি হবে কী না এ বিষয়ে শনিবার টাউন হলের মুক্ত মঞ্চে গণশুনানি অনুষ্ঠিত হয়।

গণশুনানিতে অংশ নিতে সকাল থেকেই কুমিল্লার বিভিন্ন সাংস্কৃতিক, সামাজিক ও পেশাজীবী প্রতিষ্ঠান ব্যানার ফেস্টুন নিয়ে নগরীর শতাধিক পয়েন্টে অবস্থান নেয়। পুরাকীর্তিতে না দিয়ে কুমিল্লা টাউন হলের জরাজীর্ণ ভবনের স্থানে নতুন টাউন হল কমপ্লেক্স ভবন নির্মাণের দাবি জানিয়ে তারা মানববন্ধন করে।

গণশুনানির বিষয় তুলে ধরে শুরুতে বক্তব্য রাখেন সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয় গঠিত বিশেষজ্ঞ কমিটির আহবায়ক সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মো. আব্দুল মান্নান ইলিয়াস। তার বক্তব্য শেষে গণশুনানিতে উন্মুক্ত মতামত প্রদান করে কুমিল্লার সামাজিক, সাংস্কৃতিক, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, জনপ্রতিনিধি, পেশাজীবী প্রতিষ্ঠান ও বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধি এবং সাধারণ নাগরিকবৃন্দ। গণশুনানিতে শতাধিক ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান অংশ নিয়ে মতামত প্রদান করেন।

গণশুননানিতে বক্তারা বলেন, কুমিল্লা টাউন হল চালু রেখেই শুধু এর ঐতিহ্য রক্ষা করা সম্ভব। জরাজীর্ণ ভবন ধ্বংসাবশেষে পরিণত হলে কয়েক বছরের মধ্যেই তা বিস্মৃতির অতলে হারিয়ে যাবে। তাই কুমিল্লা বীরচন্দ্র গণ পাঠাগার ও মিলনায়তনের নাম ও অবয়ব ঠিক রেখে আধুনিক সুবিধা সম্বলিত ভবন নির্মাণ করে এটিকে সচল রাখা প্রয়োজন, পুরাকীর্তিতে দিলে তা কুমিল্লার মানুষ কখনোই মেনে নেবে না।

তারা বলেন, কুমিল্লা একটি প্রাচীন জেলা, ক্রীড়া, শিল্প, সংস্কৃতি ও শিক্ষায় কুমিল্লা জেলা ঐতিহ্য বহন করে চলছে। সময়ের চাহিদা অনুযায়ি বর্তমান টাউন হল ভবনটি এখন কুমিল্লাবাসীর চাহিদা পুরণ করতে পারছে না। বর্তমান ভবনটি জারাজীর্ণ ও ব্যবহার অনুপযোগী। গণশুনানিতে অংশ নেয়া প্রায় সকলেই বর্তমান টাউন হলের স্থানে নতুন কমপ্লেক্স ভবন নির্মাণের জন্য দাবি করেন।

কুমিল্লাবক্তারা বলেন, মোমবাতির আলোয় অনুষ্ঠান করতে হয়, সামান্য বৃষ্টি হলেই হলে পানি জমে, পুরো ভবন স্যাঁতস্যাঁতে ও জরাজীর্ণ। চার দিকের দেয়াল ভেঙ্গে পড়েছে। কোন প্রকার অনুষ্ঠানই বর্তমান ভবনটিতে করা যায় না।

গণশুননানীতে বক্তব্য রাখতে না পারা অনেকে নিজ নিজ প্রতিষ্ঠানের পক্ষে নতুন ভবন নির্মাণের পক্ষে বিশেষজ্ঞ কমিটির রাখা বাক্সে লিখিত মতামত প্রদান করেন।