ভারতের আনন্দবাজার পত্রিকার প্রধান নির্বাহী’র সঙ্গে বৈঠকি আড্ডায় বক্তারা বলেছেন, সমালোচনা সহজে গ্রহণ করতে না পারার কারণেই গণমাধ্যম আক্রান্ত হচ্ছে যাতে মানুষের পক্ষ নিয়ে কথা বলা কঠিন হয়ে পড়ছে। তবে চাপের মুখে সত্য বলাই হচ্ছে সংবাদপত্রের কাজ।
প্রথম আলোর ১৭তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উদযাপনের ধারাবাহিকতায় প্রথম আলোর আয়োজন, বৈঠকি আড্ডা। অতিথি পশ্চিমবঙ্গের জনপ্রিয় বাংলা দৈনিক আনন্দবাজারের প্রধান নির্বাহী ডি ডি পুরকায়স্থ। বাংলাদেশের গণমাধ্যমগুলোর নীতি নির্ধারকদের সঙ্গে জমে ওঠা আড্ডায় মূলত কথা হলো, দু’দেশের গণমাধ্যমের সমস্যা ও সম্ভাবনা নিয়ে। প্রথম আলো সম্পাদক মতিউর রহমান বলেন, আমাদের দায়িত্ব হলো আমাদের সচেতন থাকা, উদ্যোগী থাকা যেন সত্য স্বাধীন সাংবাদিকতা করতে পারি। যেন আমরা দেশের মানুষের কল্যান আকাঙ্খাটাকে মনে রাখি। আমরা বলি যে, ‘আপনার সমালোচক আপনার বন্ধু’। আমরা সরকারের সমালোচনা করলে সরকারর ভালোর দিক চেয়েই সমালোচনা করি।
আনন্দবাজার পত্রিকার ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী ডি ডি পুরকায়স্থ বলেন, ভালো করলে ভালো বলবে কোন কিছু ঠিকভাবে যদি না যায় সেটা বলবে ভালো ভাবে।
সংবাদ পক্ষে গেলে বন্ধু আর বিপক্ষে গেলে গণমাধ্যমকে শত্রু ভাবার যে প্রবণতা, তার সমালোচনা করেন গণমাধ্যম বিশেষজ্ঞরা। ডি ডি পুরকায়স্থ আরো বলেন, গণমাধ্যমকে গণমাধ্যমের মতোই চলা উচিত। সেটা মাথা নতো করে নতি স্বীকার করে মেনে নিলে আর গণমাধ্যমের কি রইলো।
তিনি আরো বলেন, জনতার কথা তুলে ধরা সমাজে কি হচ্ছে তা তুলে ধরা কাজ আমাদের। সেই কাজ আমরা ঠিকভাবে করতে না পারলে আর কি হলো আমাদের।
প্রথম আলো সম্পাদক মতিউর রহমান বলেন, যারা সরকারে থাকেন যারা ক্ষমতায় থাকেন তারা সময় সময় সংবাদপত্র বা নাগরিক সমাজ বা অন্য কারো সমালোচনা তারা ঠিকভাবে মেনে নিতে পারে না গ্রহণ করতে পারে না।
তিনি আরো বলেন, ক্ষমতায় থাকলে তারা তাদের ভুলত্রুটি গুলো স্বীকার করতে চান না। অর্থাৎ তারা সমালোচনা মানতে চান না শুনতে চাননা বা গ্রহণ করতে চান না। এর ফলে তারা উল্টোপাল্টা আক্রমণ করে, ফলে সংবাদপত্র আক্রান্ত হয়ে যায়।
বাংলাদেশ ও পশ্চিমবঙ্গের গণমাধ্যমের সফল দুই নীতিনির্ধারক বললেন, চাপে নতি স্বীকার করা আসল গণমাধ্যমের চরিত্রে নেই। ভবিষ্যতেও তারা চাপ উপেক্ষা করেই দেশ ও মানুষের পক্ষেই কথা বলবেন।