আদালত কর্তৃক দুই চালকের সাজার প্রতিবাদে শ্রমিকদের ডাকা পরিবহন ধর্মঘটের দ্বিতীয় দিনেও রাজধানীতে চলাচল করছে না কোনো গণপরিবহন। বিআরটিসি বাস চললেও তা প্রয়োজনের তুলনায় খুবই কম। যার ফলে রীতিমতো যুদ্ধ করে কেউ কেউ নির্দিষ্ট গন্তব্যের পথ ধরলেও অসহায় নারী, বয়স্ক ও শিশুরা।
বুধবার সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত শাহবাগ পয়েন্টের চিত্র তুলে ধরে দায়িত্বরত ট্রাফিক পুলিশ নিরঞ্জন চ্যানেল আই অনলাইনকে বলেন, ‘বিআরটিসি ছাড়া অন্য কোন বাস চলছে না সকাল থেকেই। অফিস টাইমে যাত্রীদদের অনেক চাপ ছিল। তখন বাসে উঠতে না পেরে অনেককে রিকশা, সিএনজিতে করে দেখা গেছে। কেউ কেউ আবার হেঁটেই রওনা দিয়েছেন।’
সুযোগ পেয়ে সিনজিচালিত অটোরিকশা এবং রিকশাওয়ালারা ভাড়া হাঁকছেন কয়েকগুন। বাধ্যবাধকতা থাকার পরেও মিটারে যাচ্ছে না কোনো অটোরিকশা।
মিরপুরের উদ্দেশ্য যাত্রা করা শিমুল নামে এক যুবক চ্যানেল আই অনলাইনকে বলেন, ‘প্রায় একঘণ্টা ধরে এখানে (শাহবাগ) দাঁড়িয়ে আছি। কোনো পরিবহন না পেয়ে সিএনজিতে যাওয়া ছাড়া উপায় নেই। কিন্তু সুযোগ পেয়ে তারা কয়েকগুন ভাড়া চাচ্ছেন। যেখানে প্রতিদিন ২০টাকা দিয়ে বাসে যাই, সিএনজিতে লাগতো ২০০ টাকার মতো সেখানে আজ তারা চাচ্ছে ৪৫০-৫০০ টাকা! আমার কাছেতো অত টাকা নেই।’
বারডেম হাসপাতালের সামনে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা যায় ষাটোর্ধ এক বৃদ্ধ দম্পতিকে। চিকিৎসা শেষে করে তারা গাজীপুর যাবেন। কিন্তু পাচ্ছেন না কোন বাস, বিআরটিসিতেও ঠেলাঠেলি করে উঠতে অসমর্থ হওয়ায় দুই ঘণ্টা ধরে তারা একই জায়গায় দাঁড়িয়ে আছেন বলে জানান।
শাহবাগ হয়ে রাজধানীর প্রায় সব রুটে বিভিন্ন কোম্পানির বাস চলাচল করে। কিন্তু এ দুইদিনে কোন বাসই ঠিকমতো চলাচল করতে পারেনি। মাঝে মধ্যে দুইএকটি বাস চললেও বিভিন্ন পয়েন্টে তা শ্রমিকদের দ্বারা বাঁধাপ্রাপ্ত হচ্ছে বলে জানা গেছে বিভিন্ন সূত্রে।
তবে শাহবাগ ও আশেপাশের এলাকায় বুধবার কোন ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেনি বলে জানিয়েছেন শাহবাগ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আবুল হাসান।
বুধবারই শাহবাগ থানার দায়িত্ব নেওয়া এ কর্মকর্তা চ্যানেল আই অনলাইনকে বলেন, ‘আমার থানা এলাকার কোথাও কোন ভাঙচুরের খবর আসেনি। পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে।’