গণপরিবহনে অতিরিক্ত ভাড়া আদায়ের অভিযোগ করেছেন মানবাধিকার কর্মী ও সুশীল সমাজের প্রতিনিধিরা। এই সেক্টরে নৈরাজ্যকর পরিস্থিতির অবসানে উদ্যোগ নিতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন তারা।
সিএনজির দাম বৃদ্ধির কারণে এ মাসের শুরুতে বাস ও মিনিবাসের ভাড়া বাড়ানোর পর পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণে এক গণশুনানির আয়োজন করা হয়।
বাস ও মিনিবাসের ভাড়া কিলোমিটার প্রতি ১০ পয়সা বাড়ানোর পর রাজধানীর যাত্রীদের মধ্যে বিরূপ প্রতিক্রিয়া দেখা গেছে।
রাজধানীর ফার্মগেইটে আনন্দ সিনেমা হলের পাশে গণশুনানির আয়োজন করে বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতি। সংগঠনটির চেয়ারম্যান শরীফ রফিকুজ্জামান, কলাম লেখক আবুল মকসুদ, সিপিবি নেতা রুহিন হোসেন প্রিন্স, কনজ্যুমার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ক্যাব) জ্বালানি বিষয়ক উপদেষ্টা এম শামসুল আলম ও বাসদ নেতা রাজেকুজ্জামান রতন শুনানিতে উপস্থিত ছিলেন।
গণশুনানিতে অনেক স্থানে ‘দ্বিগুণ ভাড়া’ আদায়ের অভিযোগ করা হয়েছে। সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত ফার্মগেইটের গণশুনানিতে আড়াইশ যাত্রী তাদের অভিযোগের কথা জানিয়েছেন।
গত কয়েক দিনে তাদের ১৩টি দল তিন হাজার যাত্রীর মতামত নিয়েছে।
গণশুনানিতে প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতি সংবাদ সম্মেলন করে যানবাহনে ভাড়ার নতুন তালিকা সুপারিশ করবে।