চ্যানেল আই অনলাইন
হৃদয়ে বাংলাদেশ প্রবাসেও বাংলাদেশ
Channelionline.nagad-15.03.24

গণধর্ষণের ১৫ দিন পর অবশেষে মামলা, গ্রেপ্তার ২

মাগুরার শ্রীপুর উপজেলার কোদলা গ্রামে গৃহবধু গণধর্ষণের ঘটনার ১৫ দিন পর অবশেষে শ্রীপুর থানায় মামলা হয়েছে। মামলায় অভিযুক্ত তিন জনের মধ্যে দিপুল (২২) ও মাজেদুল (৩৫) নামে দুই জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

গ্রেপ্তার হওয়া দিপুল কোদালা গ্রামের মোহাম্মদ আলীর ছেলে ও মাজেদুল একই গ্রামের মঞ্জু শেখের ছেলে।

শ্রীপুর থানায় শুক্রবার রাতে গ্রেপ্তারকৃত দুই জনসহ তিন জনের বিরুদ্ধে মামলাটি দায়ের করেন ধর্ষণের শিকার ওই গৃহবধু।

মামলার তদন্তকারি কর্মকর্তা মাগুরা ডিবি পুলিশের পরিদর্শক নাসির হোসেন জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে শুক্রবার রাতে কোদলা গ্রামের একটি বাড়ি থেকে দিপুল ও মাজেদুলকে গ্রেপ্তার করা হয়।

মাগুরার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার তারিকুল ইসলাম শনিবার সাংবাদিকদের বলেন, গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশের পর বিষয়টি পুলিশের উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষসহ আমাদের নজরে আসে। পাশাপাশি এটি নিয়ে তাৎক্ষণিক তদন্ত শুরু করি। ঘটনার তদন্ত সাপেক্ষে এ বিষয়ে যথাযথ আইনী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। এ ঘটনায় দায়ী কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না

জানা যায়, গত ২৮ জুন রাতে মাগুরার শ্রীপুর উপজেলার কোদলা গ্রামে গণধর্ষনের শিকার হন হতদরিদ্র ওই গৃহবধূ। ঘটনার দিন রাতের বেলা একই গ্রামের দিপুল নামে পরিচিত এক যুবক দরজায় কড়া নাড়লে তিনি দরজা খুলে দেন। এসময় দিপুল একই গ্রামের মাজেদুল ও আশরাফুল নামে আরো দুই যুবককে নিয়ে ঘরে ঢুকে তাকে পালাক্রমে ধর্ষণ করে।

শুধু তাই নয়, কোন এক ব্যক্তির সাথে তার অনৈতিক সম্পর্ক রয়েছে অভিযোগ তুলে ধর্ষণকারী ওই তিন যুবক লকার ভেঙে জমির কাগজপত্র, কানের দুল, ব্যাংকের চেকে অস্ত্রের মুখে সাক্ষর করিয়ে নিয়ে যায় বলেও অভিযোগ পাওয়া গেছে।

তিনি বলেন, এ ঘটনার পর সকালে ধর্ষণের শিকার গৃহবধূ এ বিষয়ে অভিযোগ নিয়ে শ্রীপুর থানায় গেলে থানার অফিসার ইনচার্জ মাহবুবুর রহমান তাকে সন্ধ্যা পর্যন্ত বসিয়ে রাখেন। এমনকি ডাক্তারি পরীক্ষার অনুরোধ জানালে তিনি সেই ব্যবস্থা না করে ভয় দেখিয়ে বের করে দেন। এছাড়া গত কয়েকদিনে বিষয়টি নিয়ে মামলায় না গিয়ে মিমাংসার জন্য তাকে চাপ দিচ্ছিলেন।

এরপর মামলা না নেয়ার বিষয়ে গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশ হলে বিষয়টি নিয়ে তৎপর হন পুলিশ হেডকোয়ার্টারসহ মাগুরা পুলিশের উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।

মাগুরা পুলিশ সুপার খান মোহাম্মদ রেজোয়ানের নির্দেশে শুক্রবার বিকেলে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার তারিকুল ইসলাম, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (হেড কোয়ার্টার) মুহাম্মদ ইবরাহিম, সহকারি পুলিশ সার্কেল আহসান হাবিবসহ পুলিশ কর্মকর্তারা মাগুরার শ্রীপুরের কোদলা গ্রামে ওই গৃহবধূর সঙ্গে বাড়িতে গিয়ে দেখা করে তার বক্তব্য রেকর্ড করেন। পাশাপাশি ঘটনার ১৮ দিন পর শুক্রবার রাতে শ্রীপুর থানায় মামলা দায়ের হয়।